হলদিয়া পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে সেই বিতর্কিত নির্মাণ। নিজস্ব চিত্র।
চার দিকে ধানজমি। আর তারই মাঝে মাথা তুলেছে কংক্রিটের ঘর।
শিল্পশহর হলদিয়ায় এই কাণ্ডে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারপরই তড়িঘড়ি সংশ্লিষ্ট কোঅপারেটিভ হাউসিং সোসাইটিকে তলব করেছেন পুর-কর্তৃপক্ষ।
চাষজমিতে শিল্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল এই জেলারই নন্দীগ্রাম। ঝরেছিল রক্ত। তারপর হুগলির সিঙ্গুরেও ঘটেছিল জমি রক্ষার আন্দোলন।এ বার নন্দীগ্রামের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পশহরে চাষজমিতে কংক্রিট ঘর নির্মাণে ঘিরে তাই শোরগোল পড়েছে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই হলদিয়া পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক সংলগ্ন চকতারোয়ান মৌজার পদ্মপুকুর সংলগ্ন এলাকায় ধানজমিতে মাথা তুলেছে কংক্রিটের ওই নির্মাণ। জানা গিয়েছে, চকতরোয়ান মৌজায় প্রায় ৭ একর জমি ১৯৯২ সালে ভূপতিনগর হাই স্কুলের তরফে আগমনী হাউসিং কো-অপারেটিভ এবং মুজফ্ফর আমহেদ খান ট্রাস্টকে দেওয়া হয়েছিল। পরের বছর প্রায় ৩০ ডেসিমেল জমি আগমনী হাউসিং কো অপারেটিভের তরফে হলদিয়া কনজ়িউমারস কো-অপারেটিভকেকে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়। সরকারি তথ্য বলছে, এই জমির ভাগচাষির সংখ্যা ১২জন। তাঁদের মধ্যে দু’জন বেঁচে আছেন। আগমনী হাউসিং কো-অপারেটিভ সোসাইটির তরফেই ওই জমিতে কংক্রিটের বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। চোখের সানে চাষজমির উপরে কংক্রিটের নির্মাণ হল অথচ পুরসভা কেন কোনও ভূমিকা নিল না, সেই প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী। এই পরিস্থিতিতে সোমবার ওই হাউসিং সোসাইটির প্রতিনিধিদের তলব করা হয় হলদিয়া পুরসভায়। পুরসভার সূত্রে খবর, সোসাইটির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন তাঁরা ওখানে গুদামঘর তৈরি করছেন। কিন্তু পুর-আইন অনুযায়ী পুর এলাকাতে যে কোনও নির্মাণ করতে গেলে পুরসভার আগাম অনুমতি প্রয়োজন। ওই হাউসিং সোসাইটিকে শীঘ্রই এ প্রসঙ্গে কিছু পুরসভার প্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় ‘‘বৈঠকে ব্যস্ত আছি’’ বলে ফোন কেটে দেন। আগমনী হাউসিং কো-অপারেটিভ সোসাইটির সদস্য শচীন সামন্ত মানছেন, ‘‘সীমানা নির্ধারণ করার জন্য প্রাচীর এবং অস্থায়ী ঘর তৈরি করা হয়েছে। তবে পুরসভার কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।’’ হলদিয়া কনজ়িউমারস কো-অপারেটিভের প্রশাসক কঙ্কন দাসের বক্তব্য, ‘‘ওই হাউসিং সোসাইটি আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্মাণ করে চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy