—নিজস্ব চিত্র।
এক দিকে কৌশিকী অমাবস্যা। দোসর হয়েছে ভরা কটাল। এই জোড়া ফলার দাপটে বৃহস্পতির পর শুক্রবারেও উত্তাল হল দিঘার সমুদ্র। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকেরা সমুদ্রে স্নান করতে নেনে যাতে কোনও বিপদের মুখে না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে চূড়ান্ত সতর্ক প্রশাসন। সৈকতে মোতায়েন করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার, পুলিশকর্মী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীদের। বিপদ এড়াতে দিঘার সৈকতে কিছু কড়াকড়ি জারি হয়েছে ঠিক। কিন্তু সপ্তাহান্তে পর্যটকে ভাটা নেই! সোমবার বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য টানা তিন দিনের ছুটি থাকায় লক্ষ্মীলাভের আশায় রয়েছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।
গত কয়েক দিন ধরেই মেঘলা আকাশ দিঘায়। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়ার অবনতি হওয়ায় পর থেকেই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে দিঘার সমুদ্র। বৃহস্পতিবার কৌশিকী অমাবস্যার প্রভাবে আরও বেশি উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। তাই প্রশাসনের তরফেও নুলিয়াদের বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সময় সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি না হলেও প্রয়োজন মতো কখনও দড়ি দিয়ে ঘাটগুলোকে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে, আবার কখনও পর্যটকদের বিপজ্জনক ঢেউ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন নুলিয়ারা।
বৃহস্পতিবারই সমুদ্রে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছিলেন এক পর্যটক। তাঁকে উদ্ধার নিয়ে যাওয়া হয় দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। ওই পর্যটকের নাম সুব্রত সর্দার। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার পলতার বাসিন্দা। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে দিঘায় বেড়াতে এসেছিলেন সুব্রত। পরে স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে পুরনো দিঘার সিহক গোলার ঘাটে স্নান করতে যান। সেখানেই জলের টানে তিনি সমুদ্রে তলিয়ে যেতে থাকেন। দেখতে পেয়েই তাঁকে উদ্ধার করেন নুলিয়ারা।
হাওড়া থেকে সপরিবার দিঘায় বেড়াতে এসেছেন অতসী দে। উত্তাল সমুদ্র দেখতে দেখতে তিনি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে দিঘায় না এলে সমুদ্রের উত্তাল রূপ দেখা যাবে না। কৌশিকী অমাবস্যায় সমুদ্র উত্তাল হবে জেনেই তো ছুটে এসেছি। জোয়ারের সময় সমুদ্র ব্যাপক উত্তাল থাকায় স্নান করতে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে ভাটার সময় জল কিছুটা নামলে নিউ দিঘার কয়েকটি ঘাটে সমুদ্র স্নানে নামতে দেওয়া হচ্ছে।”
দিঘা হোটেলিয়ারর্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে পর্যটকদের আনাগোনা দিঘায় অনেকটাই বেড়েছে। সপ্তাহান্তে ভিড় অনেকটাই বেড়ে যায়। তবে আগামী সপ্তাহের সোমবার বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য টানা তিন দিনের ছুটিতে ভিড় কিছুটা বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে ২৮ তারিখ ইদ এবং সোমবার গান্ধী জয়ন্তীতে টানা প্রায় চার দিনের ছুটিতে দিঘা, মন্দারমনি, তাজপুর, শঙ্করপুর সর্বত্রই পর্যটকদের ভাল ভিড় আশা করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ছুটির দিনগুলোর জন্য আগাম বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy