মা সারদার আশীর্বাদ, স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্কল্প ও ভগিনী নিবেদিতার আত্মত্যাগ— এই তিনের মেলবন্ধনে উজ্জ্বল রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়। শনিবার বাগবাজারের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সে কথাই স্মরণ করালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, চিকিৎসক মুকুল ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘‘উজ্জ্বলতার এই ধারাবাহিকতা বহন করে নিয়ে যেতে হবে পড়ুয়াদেরই।’’ পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মুকুল জানান, সময় ও পরিস্থিতির বদল হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি শিশুকে মূল্যবোধ, ঠিক ও ভুলের পার্থক্য এবং আত্মনির্ভরতার শিক্ষা দানের পাশাপাশি মনে ভালবাসার বীজ রোপণ করতে হবে। এ দিন উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডিন, চিকিৎসক স্বাতী ভট্টাচার্য এবং নিবেদিতা বিদ্যালয়ের সহ-সম্পাদক প্রব্রাজিকা সোমপ্রাণা।
১৮৯৮ সালের ১৩ নভেম্বর স্বামী বিবেকানন্দ, স্বামী ব্রহ্মানন্দ এবং অন্যদের উপস্থিতিতে ভগিনী নিবেদিতার তৈরি এই বিদ্যালয়ের সূচনা করেন সারদাদেবী। আর্থিক কারণে কয়েক মাস পরে বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে গেলেও, ১৯০২ সালে পুনরায় পথ চলা শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং শিল্প বিভাগ মিলিয়ে এখন পড়ুয়ার সংখ্যা ১০৬৩। ২০২৩ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি, বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের তৃতীয় অধ্যক্ষ প্রব্রাজিকা শ্রদ্ধাপ্রাণার জীবনীর উপরে নৃত্য আলেখ্য, নৃত্যনাট্য ‘তাসের দেশ’ এবং ‘তুষার কন্যা’ মঞ্চস্থ করে পড়ুয়ারা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)