পাঁশকুড়ায় ব্যারিয়ারে আটকে গিয়েছে লরি। নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় সড়কের টোল প্লাজায় কর ফাঁকি দিতে রাজ্য সড়কে ভিড় বাড়ছে পণ্যবাহী বড় বড় লরির। সেই লরিতে থাকা পণ্যের ধাক্কায় অল্প দিন অন্তর ভাঙছে রেল সেতুর ব্যারিয়ার। এতে এদিকে, যেমন রেলের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই রাজ্য সড়কে বড় বড় লরির ভিড় বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে এলাকাবাসীর।
ঘাটাল এবং ডেবরার দিক থেকে আসা পণ্যবাহী গাড়ি এবং বড় বড় লরিগুলি মেচেদা হয়ে নন্দকুমার, হলদিয়া, কাঁথি-সহ বিভিন্ন জায়গায় যায়। হলদিয়া ও কাঁথির দিক থেকে পণ্যবাহী গাড়িগুলি ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে মেচেদার দিয়ে যায়। তমলুকের মিলননগরে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের সোনাপেত্যায় একটি টোল ট্যাক্স রয়েছে। সেই টোল ফাঁকি দেওয়ার জন্য বড় বড় লরি ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ছেড়ে পাঁশকুড়া বাজার থেকে তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক হয়ে তমলুকের রাধামণিতে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে উঠছে বলে অভিযোগ। অনুরূপভাবে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের রাধামণি থেকে গাড়িগুলি তমলুক-পাঁশকুড়া রাক্য সড়ক ধরে এসে উঠছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে।
পাঁশকুড়া বিডিও অফিসের অদূরে একটি রেল সেতু রয়েছে। সেটির আন্ডারপাস দিয়ে গিয়েছে তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক। আন্ডারপাসের উচ্চতা খুবই কম। বড় বড় গাড়ির উচ্চতার ধাক্কায় যাতে সেতু ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য সেতুর দু’কে রাস্তার উপর রেল দু’টি লোহার ‘বেরিয়ার’ দিয়ে রেখেছে। অভিযোগ, বড় বড় লরি এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের কারণে মাঝেমধ্যেই ধাক্কা লাগছে এবং রেলের ব্যারিয়ার ভেঙে যাচ্ছে। অনেক সময় লরির উপরের অংশের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেতুও। আবার লোহার ব্যারিয়ারে লরি আটকে গিয়ে পাঁশকুড়া শহরে নিত্য যানজটে হচ্ছে।
টোল ট্যাক্স ফাঁকি দিতে জাতীয় সড়ক ছেড়ে রাজ্য সড়কে বড় বড় লরি চলাচলের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা হচ্ছে। সমস্যায় স্থানীয় মানুষজনও। পাঁশকুড়ার এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘টোল ফাঁকি দেওয়ার জন্য লরিগুলি তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে ঢুকছে। সেগুলি ব্যারিয়ার ভেঙে দিচ্ছে। সেতুরও ক্ষতি করছে। রাস্তায় পুলিশ থাকা সত্ত্বেও লরিগুলি কী ভাবে জাতীয় সড়ক ছেড়ে রাজ্য সড়কে ঢুকছে?’’ বারবার রেল সেতুর ব্যারিয়ার ভাঙার ঘটনায় রীতিমত বিরক্ত রেল কর্তৃপক্ষও। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গত কয়েক মাসে একাধিকবার পাঁশকুড়া রেল সেতুর ব্যারিয়ার ভেঙেছে। সোমবার একদিকের ব্যারিয়ার পুরোপুরি ভেঙে গিয়ে সেতু অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা কংক্রিটের বেরিয়ার তৈরির কাজ শুরু করেছি। যান চলাচলের বিষয়টি রাজ্যের হাতে। পুলিশ প্রশাসনের বিষয়টি দেখা উচিত।’’ যদিও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy