Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

পর্যটনে এ বার দূষণহীন স্কুটার

প্রতি ঘণ্টায় মাত্র একশো টাকার বিনিময়ে পর্যটকরা নিজেরাই ব্যাটারি চালিত বাইক চালিয়ে ঘুরে দেখতে পারবেন ঝাড়গ্রাম রাজপ্রাসাদ, উপজাতীয় ব্যাখ্যা কেন্দ্র, আদিবাসী সংগ্রহশালা, আমলাচটি ভেষজ উদ্যান, জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক, কেন্দুয়া গ্রামের পরিযায়ী পাখি, চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দির, চিল্কিগড় রাজবাড়ির মতো উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান ও পর্যটন কেন্দ্র।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:৩২
Share: Save:

মধ্যবিত্তের পকেটের সাশ্রয় করতে পুজোর পর্যটনে জঙ্গলমহলে চালু হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব ‘ই-বাইক’।

প্রতি ঘণ্টায় মাত্র একশো টাকার বিনিময়ে পর্যটকরা নিজেরাই ব্যাটারি চালিত বাইক চালিয়ে ঘুরে দেখতে পারবেন ঝাড়গ্রাম রাজপ্রাসাদ, উপজাতীয় ব্যাখ্যা কেন্দ্র, আদিবাসী সংগ্রহশালা, আমলাচটি ভেষজ উদ্যান, জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক, কেন্দুয়া গ্রামের পরিযায়ী পাখি, চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দির, চিল্কিগড় রাজবাড়ির মতো উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান ও পর্যটন কেন্দ্র। পরিবেশ বান্ধব বাইকে চড়ে পর্যটকরা জঙ্গলমহলের গ্রামীণ জীবনযাত্রা, কুটিরশিল্প, বিশেষ স্থানীয় খাবার, শিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গেও পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন। ফুল চার্জ একটি বাইক সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে যাতায়াত করা যাবে। প্রতিটি বাইকে জিপিএস লাগানো থাকবে। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আর অর্জুন বলেন, “বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। জঙ্গলমহলের পর্যটনে এটা অবশ্যই খুবই সদর্থক দিক।”

কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থা এবং ঝাড়গ্রামের ভ্রমণ সংস্থা ‘ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম’-এর যৌথ উদ্যোগে এই পরিষেবা শুরু হচ্ছে কাল, বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর। ওই দিন বিকেলে ঝাড়গ্রাম শহরের উপকণ্ঠে বাঁদরভোলা এলাকায় আনুষ্ঠানিক ভাবে এই পরিষেবার সূচনা হবে। প্রথম পর্যায়ে ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচটি বেসরকারি লজ, হোটেলে যে সব পর্যটক ও বোর্ডাররা থাকবেন, তাঁরা বাইক ভাড়ায় পাবেন। তবে যিনি বাইক চালাবেন, তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর ও আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।

একটি বাইকে দু’জন আরোহী চড়তে পারবেন। সরকারি অতিথিশালার পর্যটকরাও উদ্যোক্তাদের ওয়েবসাইট ও হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে এই পরিষেবা পাবেন। এই প্রকল্পটি রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা কলকাতার সংস্থাটির সিইও অভিষেক তিওয়ারির দাবি, “রাজ্যে পর্যটকদের জন্য পরিবেশ বান্ধব এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। ঝাড়গ্রামের জন্য ২৫টি ই-বাইক দেওয়া হচ্ছে। পরে দিঘা-সহ রাজ্যের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রেও এমন পরিষেবা চালুর ভাবনা চিন্তা রয়েছে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE