নকল বিলিতি মদ তৈরি এবং সরবরাহে যুক্ত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল আবগারি দফতর। ধৃতদের মধ্যে একজনের আবার খড়্গপুর শহরে মদের দোকান রয়েছে। এই দোকানও ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। খড়্গপুর এবং চন্দ্রকোনা রোডে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নকল বিলিতি মদ এবং মদ তৈরির সরঞ্জাম। দফতরের কর্তারা মনে করছেন, শুধু এই দু’জনই নয়, এই কারবারের সঙ্গে বড় দুষ্টচক্রের যোগ রয়েছে। যে দলে বেশ কয়েকজন রয়েছে। তদন্তে নেমে বাকি অভিযুক্তদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন দফতরের কর্তারা।
আবগারি দফতরের পশ্চিম মেদিনীপুরের সুপার সুব্রত দাশগুপ্ত বলেন, “বেআইনি মদের বিরুদ্ধে অভিযান চলেই। এক সূত্রের খবরের ভিত্তিতে রবিবার চন্দ্রকোনা রোড এবং খড়্গপুরে অভিযান চালানো হয়। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রচুর নকল মদ উদ্ধার হয়েছে।” এই কারবারের সঙ্গে কী কোনও বড় দুষ্টচক্রের যোগ রয়েছে? সুব্রতবাবু বলেন, “তদন্ত চলছে। তদন্তে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” দফতরের এক সূত্রে খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ইতিমধ্যে কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। এদের কেউ কেউ খড়্গপুরের বাসিন্দা। রবিবার প্রথমে চন্দ্রকোনা রোডে হানা দেন আবগারি দফতরের কর্তারা। এক নির্দিষ্ট সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বাসস্ট্যাণ্ডের অদূরের এক এলাকা থেকে দীপ ভার্মা নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। দীপুর কাছ থেকে উদ্ধার হয় নকল বিলিতি মদের ৬০টি বোতল। দীপুর বাড়ি খড়্গপুরে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিজয় সিংহ নামে একজনের নাম পাওয়া যায়। বিজয়ের বাড়ি খড়্গপুরের সালুয়ায়। সালুয়া থেকে বিজয়কে গ্রেফতার করা হয়। রেলশহরের খরিদায় তার একটি মদের দোকান রয়েছে। এই দোকান ‘সিল’ করে দেন আবগারি কর্তারা। বিজয়ের বাড়ি থেকে ১০৫ লিটার স্পিরিট উদ্ধার হয়েছে। এই স্পিরিট মদ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুরে নকল মদ তৈরি এবং সরবরাহের অভিযোগ নতুন নয়। বেশ কয়েকটি দুষ্টচক্র এই কারবারে জড়িত। মাস তিনেক আগে কেশপুরের এক মেলায় হানা দিয়েও প্রচুর নকল বিলিতি মদ উদ্ধার করে আবগারি দফতর। দফতরের কর্তারা ওই এলাকায় গিয়ে দেখেন, মেলাতে রীতিমতো স্টল করে নকল বিলিতি মদ বিক্রি হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy