দোকান্ডায় চলছে ফুল চাষের জমি তৈরির কাজ। নিজস্ব চিত্র
মাঝে আর দু'মাস। ফের আসতে চলেছে আরেকটা ফুলের মরসুম। করোনার জেরে থমকে ফুলের বাগিচা দোকান্ডায় সরকারি উদ্যোগে পার্ক তৈরি। ফের এলাকার ফুলের বাগান ও নদীচরে দূষণের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ফুলচাষিরা।পাঁশকুড়ার ঘোষপুর পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম দোকান্ডা। গ্রামের পূর্ব দিকে বয়ে গিয়েছে কংসাবতী। কংসাবতীর চরে প্রায় দু’শো বিঘা জমিতে পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফুলের চাষ করে আসছেন চাষিরা। ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত কংসাবতীর চর ভরে যায় গাঁদা,অ্যাস্টার ও চেরি ফুলে। বাগিচার এক পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের লাইন। রেলপথের উত্তর দিকের চরে বিঘার পর বিঘা জমি জুড়ে রয়েছে চন্দ্রমল্লিকার বাগান। দোকান্ডার পশ্চিম দিকে কিছুটা দূরে ক্ষীরাই স্টেশন। পূর্ব দিকে পাঁশকুড়া স্টেশন। ট্রেনে যাওয়ার সময় যাত্রীদের দৃষ্টি আটকে যায় এই ফুলের উদ্যানে। সমাজ মাধ্যমে প্রচারের দৌলতে দোকান্ডার ফুলবাগিচার খবর ছড়িয়ে পড়েছে দেশ ও বিদেশে। প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ফুলের টানে দোকান্ডায় ভিড় জমান পর্যটকরা। যার জেরে ক্ষতি হয় ফুল বাগানের। শুধু তাই নয় পর্যটকদের ফেলে যাওয়া প্লাস্টিক, থার্মোকলের দূষণে ক্ষতি হয় ফুলের বাগান ও নদীর চরের।
ফুলের মরসুমে পর্যটকদের ‘দৌরাত্ম্য’ থেকে বাগান বাঁচাতে পর্যটকদের জন্য সুষ্ঠু পরিকাঠামো গড়ে তোলার দাবি তোলেন এলাকার ফুলচাষিরা। ফুলচাষিদের দাবি মতো চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক দোকান্ডায় যান। ঠিক হয় দোকান্ডায় একটি বায়ো-ডাইভার্সিটি পার্ক গড়ে তোলা হবে। সেই লক্ষ্যে এলাকায় জমি জরিপের কাজও হয়। করোনা সংক্রমণের জন্য মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয় লকডাউন। ফলে দোকান্ডায় পার্ক তৈরির উদ্যোগও থমকে যায়। ইতিমধ্যে দোকান্ডায় ফুলের চারা লাগানোর জন্য শুরু হয়েছে জমি তৈরির কাজ। নভেম্বরের শেষ থেকে ফুটতে শুরু করবে ফুল। ফুলের টানে ফের নামতে পারে পর্যটকের ঢল। তাই ফুলের মরসুম শুরুর আগে বায়ো-ডাইভার্সিটি পার্ক তৈরি করা না গেলে ফের বাগান তছনছের আশঙ্কা করছেন ফুলচাষিরা। স্থানীয় ফুলচাষি নিরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘পর্যটক এলে এলাকার আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির বদল হয় ঠিকই। কিন্তু পর্যটকদের জন্য সুষ্ঠু পরিকাঠামো গড়ে তোলা না গেলে বাগানের প্রচুর ক্ষতি হবে। আমরা চাই এখানে পার্ক তৈরির প্রশাসনিক উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়িত হোক।’’ এ বিষয়ে পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন মালিক বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির জন্য দোকান্ডায় পার্ক তৈরির উদ্যোগ আপাতত স্থগিত আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy