বৃষ্টির অভাবে ধূ-ধূ করছে মাঠ। পাঁশকুড়ার ধারন্দায়। নিজস্ব চিত্র।
আষাঢ় মাস শেষ হতে চলেছে। রথযাত্রা পার হয়ে গিয়েছে। খাতায় কলমে ভরা বর্ষাকাল চললেও এখনও ভারী বৃষ্টির দেখা নেই। পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে আমন চাষের বীজতলা তৈরিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বীজতলা তৈরিতে বিলম্বের কারণে রোপণের সময় পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জুন মাসে এ রাজ্যে মৌসুমি বায়ু ঢুকেছে। মৌসুমি বায়ুর জেরে উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হলেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার দেখা নেই। বর্ষার বৃষ্টির উপর নির্ভর করে আমন চাষ হয় জেলায়। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রায় দু'লক্ষ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়। সাধারণত আমন চাষের জন্য জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ থেকে বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়। গোটা আষাঢ় মাস জুড়ে চলে বীজতলা তৈরি। শ্রাবণের শুরু ঠিক শুরু হয় রোপণের কাজ। বীজতলা তৈরির জন্য চাষিদের বৃষ্টির উপর নির্ভর করতে হয়। এ বার বর্ষায় এখনও ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় বীজতলা তৈরিতে সমস্যায় পড়েছেন কৃষকেরা।
কিছু কিছু জায়গায় নলকূপের জল দিয়ে বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হলেও অত্যধিক তাপের কারণে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আষাঢ় মাস শেষ হতে চলল, জেলার সিংহভাগ জায়গায় বৃষ্টির অভাবে এখনও বীজতলা তৈরিই হয়নি। ফলে এবার আমন চাষ পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাধারণত নিচু এলাকায় আষাঢ়ের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় রোপণের কাজ। শ্রাবণের ১০ তারিখের মধ্যে শেষ হয়ে যায় চাষ। উঁচু এলাকায় গোটা শ্রাবণ মাস জুড়ে চলে রোপণ। এ বার বৃষ্টির ঘাটতির কারণে এখনও বীজতলা তৈরিই করা যায়নি।
পাঁশকুড়ার দাসীবাড় গ্রামের কৃষক গুরুপদ সামন্ত বলেন,"বৃষ্টির অভাবে এখনও বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করা যায়নি। অনাবৃষ্টি চলতে থাকলে আমন চাষ প্রশ্নের মুখে পড়বে।" পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, "বর্ষার ঘাটতির কারণে আমন চাষের বীজতলা তৈরিতে বিলম্ব হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় কৃষকেরা নলকূপের জল দিয়ে বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। আমন চাষের জন্য এখনই ভারী বৃষ্টি দরকার।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy