প্রতীকী ছবি।
সরকারি আর্থিক অনুদান পাওয়া পুজো কমিটিগুলির অনেকেরই পুজো করার বৈধ অনুমতি নেই। এমনকী সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি বলে অভিযোগ। অথচ ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর পুজোর জন্য অনুদান সেই সব পুজো কমিটিও পেয়েছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ বছরের বেশি পুরনো এবং যাদের পুজোর অনুমতি রয়েছে এমন পুজোগুলিকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে এই সব পুজো অনুদান পেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভক্তি নয়, ভোটের রাজনীতি জন্য তৃণমূলের সরকার এই অনুদান দিচ্ছে। সেখানে কোনটা বৈধ, কোনটা অবৈধ তা বিচর্য নয়। মানুষকে টাকা দিয়ে যে কেনা যায় না, সময় এলে মানুষই সরকারকে তা বুঝিয়ে দেবে।’’
এগরা মহকুমায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দুই শতাধিক সর্বজনীন দুর্গাপুজো হয়। সবচেয়ে বেশি পুজো হয় পটাশপুর থানা এলাকায়। এগরা মহকুমায় এই বছর ১১০টি পুজো কমিটিএই সরকারি অনুদানের তালিকায় রয়েছে। পঞ্চায়েতে পুজোকমিটিগুলিকে ব্লকে এবং পুরসভা এলাকায় মহকুমা প্রশাসনের কাছে আবেদন করতে হয়। আর্থিক অনুদানের জন্য পুজো কমিটিগুলিকে দশ বছরের পুরনো এবং পুজো করার অনুমতির প্রমাণ হিসাবে বিদ্যুৎ বিল, দমকলের অনুমতি পত্র বা ভূমি ও রাজস্ব দফতরের অনুমতি পত্র প্রয়োজন। তিনটির যে কোনও একটি প্রমাণপত্র সহ ব্লক বা মহকুমা প্রশাসনের দফতরে আবেদন করতে হয়। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী ওই কাগজের প্রতিলিপি এবার সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হচ্ছে।
থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি অনুদান প্রাপ্ত অধিকাংশই পুজো কমিটি এখনও অনুমতি সংক্রান্ত সেই কাগজ দেখাতে পারেনি। হাতে গোনা কয়েকটা পুজো কমিটি থানায় সংশ্লিষ্ট কাগজ জমা দিয়েছে। অনেক পুজো কমিটির আবার ওই নথিও নেই। বৈধ কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও কী করে পুজোকমিটি গুলি সরকারি অনুদানের তালিকায় এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের অন্দরে। পটাশপুর এবং এগরা থানায় সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত পুজো কমিটির সংখ্যা ৭৩টি। তাদের মধ্যে মাত্র ৩১ টি পুজো কমিটি বৈধ কাগজপত্র থানায় জমা দিয়েছে। একই ছবি ভগবানপুরেও।
এগরা মহকুমা শাসক অপ্রতিম ঘোষ বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট কাগজের ভিত্তিতে পুজো করার জন্য কমিটিগুলিকে অনুমোদন দেওয়া হয়। টাকা পাওয়ার বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।’’ এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মহম্মদ বৈদুজ্জামান বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy