জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র।
এমনিতেই মন্দা বাজার। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আমদানিকৃত কাজুর উপরে কর। দু’য়ে মিলে চরম সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে কাঁথির কাজু শিল্প।
কোথাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে কাজু কারখানা। আবার কোথাও কারখানা চললেও কাজু আমদানি কমে গিয়েছে আগের তুলনায়। মাথায় হাত পড়েছে কাজু কারখানার সঙ্গে যুক্ত লক্ষ লক্ষ পরিবারের। দিশা খুঁজতে বৃহস্পতিবার জেলা শাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন কাজু ব্যবসায়ীদের দু’টি সংগঠন ‘কন্টাই কাজু অ্যাসোসিয়েশন’ এবং ‘বেঙ্গল কাজু অ্যাসোসিয়েশন’-এর প্রতিনিধিরা।
কন্টাই কাজু অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মির্জা রুকুদ্দিন বেগ বলছেন,"এক শতাংশ হারে আমদানি কর দিয়ে অনেকেই কাঁচামাল আমদানি করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। ছোট ব্যবসায়ীরা কারবার বন্ধ করে দিচ্ছেন, বড় ব্যবসায়ীদেরও অনেকেই শঙ্কিত।’’
সূত্রের খবর, ১ শতাংশ কর বা লেভি কমানোর দাবি জানান কাজু শিল্পের বিনিয়োগকারীরা। এক বিনিয়োগকারী মলয় সামন্ত বলছেন, "লরি পিছু ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে আমদানিকৃত কাজুর উপরে কর দিতে হয়। এমনিতেই জ্বালানি খরচ এবং জিএসটি-র চাপ রয়েছে। তার সঙ্গে যদি বিদেশ থেকেও আমদানি করা কাজুর উপরে কর চাপানো হয় তা হলে ছোট কারবারিরা মারা পড়বেন।’’
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর ধরে কাঁথিতে কাজু উৎপাদন সে রকম হয় না। তবে কাঁথি-১ ব্লক এবং রামনগরের দু’টি ব্লকে অসংখ্য কাজু প্রসেসিং ইউনিট গড়ে উঠেছে। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৮০০ ইউনিট রয়েছে। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা, ঘানা, নাইজেরিয়া এবং সেনেগালের মতো দেশ থেকে কাজু আমদানি করা হয়। বহুজাতিক সংস্থাগুলির মাধ্যমে সেই কাজু সংগ্রহ করেন স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা। আর অপেক্ষাকৃত বড় বিনিয়োগকারীরা সরাসরি বিদেশ থেকে কাজু সংগ্রহ করেন এবং প্রসেসিং-এর পর সেগুলি উত্তর প্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্যে রফতানি করা হয়। ওই কারখানাগুলোতেও এক লক্ষের বেশি মানুষ কাজ করেন। এঁরা অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy