—প্রতীকী চিত্র।
বাংলার বাড়ি গ্রামীণ প্রকল্পে প্রকৃত প্রাপকদের নামের তালিকা নিয়ে আগেই দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছিল বনগাঁ ব্লকের দুই সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বনগাঁর বিডিও কৃষ্ণেন্দু ঘোষ ওই দু’জনের বিরুদ্ধে গোপালনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করল। শুক্রবার রাতে বিশ্বজিৎ মিত্র নামে বনগাঁ শহরের শক্তিগড় এলাকার ওই বাসিন্দাকে ধরা হয়। শনিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অন্য অভিযুক্ত সঞ্জয় বসু পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত বৈরামপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ করেছিল বিশ্বজিৎ। অভিযোগ, প্রকৃত প্রাপক দীপ্তি বিশ্বাসের পরিবর্তে সে তালিকায় দীপ্তি অধিকারীর নাম তুলে দিয়েছিল। দীপ্তি অধিকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকাও ঢুকে যায়। পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে ব্যাঙ্কে চিঠি করে প্রশাসন টাকা ফিরিয়ে নিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বিশ্বজিৎকে সমীক্ষা করার জন্য বৈরামপুর থেকে বাইকে করে এসে কেউ বা কারা নিয়ে যেত। আবার কাজ শেষে বনগাঁয় পৌঁছে দেওয়া হত। যদিও বিশ্বজিতের নিজের মতো করে বা সরকারি গাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, বৈরামপুর এলাকায় বিশ্বজিতের জন্য যথেষ্ট পান-ভোজনের ব্যবস্থা থাকত। কিছু জিনিস ‘উপঢৌকন’ও পেয়েছিল।
অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিদের একাংশের প্রলোভনে পড়ে সে ওই কাজ করেছিল। এই কাজে কোনও ‘আর্থিক বিষয়’ জড়িয়ে কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘সমীক্ষা করার সময়ে কেউ কোনও প্রলোভন বা চাপ সৃষ্টি করলে আমাদের জানানো উচিত ছিল। কিন্তু বিশ্বজিৎ তা করেননি।’’ ওই চক্রে আরও কেউ জড়িত কিনা, তদন্তকারীরা তা খতিয়ে দেখছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy