ফাইল চিত্র।
রেলশহর খড়্গপুরেই জীর্ণ রেল কোয়ার্টার। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের দাবি জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এবার সেই দুর্দশার ছবি দেখে গেলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অর্চনা জোশীও।
বৃহস্পতিবার খড়্গপুর শহরে রেল স্টেশনের দ্বিতীয় ফুটব্রিজের উদ্বোধন ছিল। প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বহু প্রতীক্ষিত সেই ফুটব্রিজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেই অনুষ্ঠানেই এসেছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা জোশী। জেনারেল ম্যানেজার আসার খবরে কয়েকদিন ধরেই সাফসুতরো করা হয়েছিল রেল স্টেশন থেকে রেলের রাস্তাঘাট।
এ দিন মঞ্চে বক্তৃতার সময় দিলীপ বলেন, “রেলের এখানে অনেক বস্তি, কোয়ার্টার, অফিসের হাল বড় জীর্ণ হয়ে গিয়েছে। কোয়ার্টার ভেঙে যাচ্ছে। ছাদ থেকে জল পড়ছে। সেপটিক ট্যাঙ্ক উপচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আমি দিল্লি পর্যন্ত চেষ্টা করলেও এখনও সুরাহা হয়নি। খড়্গপুরের অর্ধেকাংশ জুড়ে রেল এলাকা হওয়ায় রেলের উন্নয়ন না হলে এই শহরের উন্নতি হবে না।” একসময়ে রেলের মানচিত্রে এগিয়ে থাকা খড়্গপুর এখন ভূগোলে নেই, ক্রমেই ইতিহাস হয়ে যাচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেন দিলীপ।
দিলীপের বক্তব্যের পরে ফুটব্রিজের উদ্বোধন হয়। তারপরেই মঞ্চ থেকে নেমে রেলের কর্দমাক্ত গলিপথ পেরিয়ে সটান বাবুলাইন রেল কলোনিতে ঢুকে পড়েন জেনারেল ম্যানেজার। অনেকেই ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁকে দেখে। তিনি ঢুকে যান ট্রেনের গার্ড রাকেশ কুমারের কোয়ার্টারে। রাকেশের স্ত্রী সঞ্জনা কুমারী বলেন, “চারপাশ থেকে জল চুইয়ে মেঝে ভেসে গিয়েছে। নতুন সোফা বাঁচাতে খাটে তুলেছি। ছাদ খসে পড়ছে। সেপটিক ট্যাঙ্কের দুর্গন্ধ। এভাবে কী থাকা যায়!” সব দেখেশুনে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ডিআরএম মনোরঞ্জন প্রধান ও রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আধিকারিকদের দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেন জেনারেল ম্যানেজার। পরে তিনি বলেন, “রেল কোয়ার্টারের উন্নতির ব্যপারে আমরা ভাবছি। রেল বোর্ড ‘রেলওয়ে ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি’কে বিষয়টি দেখতে বলেছে। যেখানে ফাঁকা জমি পড়ে রয়েছে সেখানে তারা নতুন কোয়ার্টার-সহ উন্নয়নমূলক কাজ করবে। পুরনো কোয়ার্টারগুলিও রক্ষণাবেক্ষণ করি। কিন্তু বৃষ্টি প্রচুর হয়েছে। কোয়ার্টারগুলি মেরামত হবে।”
এ দিন ফুটব্রিজ উদ্বোধনের মঞ্চে গরহাজির ছিলেন খড়্গপুরের (সদর) বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগে নবনির্মিত ফুটব্রিজ-সহ নানা কাজে রেলের ডিআরএমের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল দিলীপের গলায়। অথচ তারপরেই এই ফুটব্রিজ সংলগ্ন নির্মীয়মান টিকিট কাউন্টারের কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন হিরণ। ডিআরএমের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। এরপরে তাঁর এই গরহাজিরা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। হিরণ অবশ্য ফোন ধরেননি। জবাব দেননি এসএমএসেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy