পুকুরে ছিপ ফেলেছেন দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
এক বনভোজনের পর থেকে রাজ্য বিজেপি-তে ডামাডোলের সূত্রপাত। এই আবহেই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে চড়ুইভাতিতে মেতে উঠতে দেখা গেল বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা অধুনা দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। সেই চড়ুইভাতিতেই পুকুরে ছিপ ফেলে মাছও ধরতেও দেখা গেল দিলীপকে।
দলের রাজ্য কমিটি গঠনের পর থেকেই মন্থনের সূত্রপাত হয়েছে বিজেপি-তে। রাজ্য কমিটিতে মতুয়া ধর্মের প্রতিনিধিদের না পেয়ে মুখ খুলেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জনা কয়েক বিধায়ক। রাজ্য কমিটি নিয়ে বিদ্রোহের সেই সুর ছড়িয়ে পড়ে বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়াতেও। যার পরিণতি হিসাবে দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি ডেজি নড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও পাঠান এক দল বিধায়ক। এই আবহেই দলের ‘বিদ্রোহী’দের একাংশকে নিয়ে বনগাঁয় বনভোজনের আয়োজন করেছিলেন সেখানকার বিজেপি সাংসদ কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এর পর দুই প্রাক্তন রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাতেও আশ্বস্ত না হয়ে দু'জনকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। রাজ্য বিজেপি-তে এ হেন ডামাডোলের ভিতরেই মঙ্গলবার একটি দলীয় বনভোজনে যোগ দেন দিলীপ।
খড়্গপুর গ্রামীণের ওয়ালিপুরে বিজেপি উত্তর মণ্ডল কমিটি ওই বনভোজনের আয়োজন করেছিল। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ সেখানে যান দিলীপ। প্রথমে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। পরে চড়ুইভাতিতে অংশ নেন তিনি। সেখানেই শেষ নয়। যেখানে বনভোজন হচ্ছিল তার পাশেই একটি পুকুরে মাছ ধরার আয়োজন করা হয়েছিল। তা দেখে পুকুরে কিছু ক্ষণ ছিপ ফেলেন দিলীপ। তবে দিলীপের টোপে মাছ ধরা পড়েছে কি না তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে তিনি বলেন, ‘‘শীতের মরসুমে কর্মীরা পিকনিকের আয়োজন করেছিল। আমি তাঁদের উৎসাহ দিতেই এসেছি।’’
দিলীপের মাছ ধরা নিয়ে বিজেপি উত্তর মণ্ডল কমিটির এক সদস্য বলে দিলেন, ‘‘উনি তো গ্রামেরই ছেলে। গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা গ্রামে ওঁর বাড়ি। এ সব ওঁর বরাবরের অভ্যাস।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy