খড়্গপুর শহরে দিলীপ। নিজস্ব চিত্র।
তিনি মাঝে মাঝে মাস্ক পরতে ভুলে যান। তবে এমন ভুল না করাই ভাল বলে মনে করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
রবিবার একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে খড়্গপুর শহরে এসেছিলেন দিলীপ। তার মধ্যে ছিল একটি দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনও। সেখানে মঞ্চে দিলীপ-সহ বিজেপির জেলা ও শহর নেতৃত্বদের কারও মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। শুধুমাত্র মাস্ক ছিল সাংসদ প্রতিনিধির মুখে। তবে ওই মঞ্চ থেকেই বক্তৃতায় দিলীপ বলেন, ‘‘সকলকে অনুরোধ করব, নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। সকলকে সতর্ক করুন। অবশ্যই বাড়ির বাইরে মাস্ক পরুন। কারণ, এই রোগের কোনও ওষুধ নেই, খরচ বেশি।” পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজে মাস্ক না পড়ার প্রশ্নে দিলীপের জবাব, “মাস্ক পরাটা আমাদের অভ্যাসের মধ্যে থাকে না। আমি মাস্ক পরেছিলাম। কিন্তু চা খাব বলে খুলে রেখেছি। অনেকসময় ভুলে যাই পড়তে। সাধারণ মানুষেরও নিজে পড়া ও লোককে সতর্ক করার প্রয়োজন রয়েছে।”
এ দিন দিলীপ প্রথমে যান গিরিময়দান সংলগ্ন মাতা মন্দিরে। সেখানে মাতা পুজো দেখে পৌঁছন শহরের বালাজি মন্দিরে। পরে মন্দির দর্শন সেরে যান নিমপুরার ১৩নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনে। ওই ওয়ার্ডে বিজেপির কোনও স্থায়ী কার্যালয় ছিল না। পুরসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে স্থানীয় মানুষকে পরিষেবা দিতে ওই কার্যালয় বলে জানা গিয়েছে। পুরসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে চাইছে বিজেপি। এ দিন মেদিনীপুরের সাংসদও সে কথা উদ্বোধনী মঞ্চে বলেছেন। তবে খড়্গপুরের তাঁদের মাটি যে শক্ত তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন। দিলীপ বলেন, “আমাদের সংগঠন ঠিকই রয়েছে। নিয়মিত বৈঠক, কার্যক্রম চলছে। সকলে তৈরি আছে। খড়্গপুরে লোকসভা, বিধানসভায় আমরা জিতেছি। খড়্গপুরের মানুষ বিজেপির সঙ্গে আছে। এখানে তাঁরা কোনও অশান্তি গুণ্ডাগিরি চায় না।’’ এর পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, ‘‘খড়্গপুরের মানুষ তৃণমূলকে পছন্দ করে না। গত বারেও পুরসভা নির্বাচনে জিততে পারেনি। জোর করে বন্দুক দেখিয়ে কাউন্সিলর ভাঙিয়েছিল। এ বারেও মানুষ তাঁদের ভোট দেবে না।”
বিজেপিতে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। খড়্গপুরেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে তৃণমূলে আসছে বিজেপি কর্মীরা। যদিও এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “অনেক লোক বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলে এসেছিল। তার মধ্যে কয়েকজন হয়তো সুবিধা হচ্ছে না বলে চলে যাচ্ছে। তাতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর গোয়া সফর নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “যিনি পশ্চিমবঙ্গে জিততে পারেন না তিনি গোয়ায় জিতবে এ কথা কেউ বিশ্বাস করবেন না। এখানে মানসিক চাপ রয়েছে। তাই কয়েকদিন গোয়ার ঠাণ্ডা হাওয়ায় বেড়াতে গিয়েছেন।”
এ দিন সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে যান দিলীপ। শহরের মিরবাজারে দলের এক কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। দলের পক্ষ থেকে এলাকায় শীতবস্ত্র প্রদানের আয়োজন করা হয়েছিল। দিলীপ অভিযোগ করেন, শহরে ঠিকমতো আবর্জনা সাফাই হচ্ছে না। এ দিন শালবনিতেও এক কর্মসূচিতে থাকার কথা ছিল সাংসদের। সে কর্মসূচি অবশ্য শেষ মুহূর্তে স্থগিত হয়েছে। আজ, সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরে আসার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি, সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের। দলের রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরে এটাই প্রথম পশ্চিম মেদিনীপুর সফর তাঁর। জেলা বিজেপি সূত্রে খবর, সোমবার মেদিনীপুরে দলের পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতিকে সংবর্ধিত করা হবে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে থাকার কথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপেরও। এ দিন সন্ধ্যায় মেদিনীপুরের কর্মসূচি সেরে ফের খড়্গপুরে ফিরে যান দিলীপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy