Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

মমতার সভায় লোকশিল্পীর অনুষ্ঠান, হচ্ছে আলাদা মঞ্চ

কাল, সোমবার কেশিয়াড়ি কলেজ ময়দানে প্রশাসনিক জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভামঞ্চের পাশেই গড়া হচ্ছে পৃথক একটি মঞ্চ। দ্বিতীয় মঞ্চ কেন? প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য এই মঞ্চ গড়ে তোলা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কেশিয়াড়ি শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:০৬
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে লোকশিল্পের বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে কেশিয়াড়িতে। প্রশাসনিক সভাস্থলে এ জন্য গড়া হচ্ছে পৃথক মঞ্চও। ওই মঞ্চেই লোকনৃত্য ও লোকসঙ্গীত পরিবেশন করবেন ১৫৬ জন লোকশিল্পী।

কাল, সোমবার কেশিয়াড়ি কলেজ ময়দানে প্রশাসনিক জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভামঞ্চের পাশেই গড়া হচ্ছে পৃথক একটি মঞ্চ। দ্বিতীয় মঞ্চ কেন? প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য এই মঞ্চ গড়ে তোলা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। গোটা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। তাই মঞ্চে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঝুমুর, ছৌ, বাউল, আদিবাসী নৃত্য-সহ নানা লোকশিল্পীরা নিজেদের গীতি-নৃত্য পরিবেশন করবেন।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে পর্যন্ত দু’ঘণ্টা ধরে চলবে অনুষ্ঠান। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বেলা ২টোয় প্রশাসনিক জনসভাস্থলে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই বেলা ১২টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই অনুষ্ঠান মঞ্চে ঝুমুরশিল্পী পানমনি বেসরা, বাউল শিল্পী লক্ষ্মীকান্ত রায়ের মতো সঙ্গীত সম্মান পাওয়া লোকশিল্পীরা হাজির থাকছেন বলে জানা গিয়েছে। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী লোকশিল্পীদের প্রসার প্রকল্পের কাণ্ডারি। তাই তাঁকে স্বাগত জানাতে লোক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছি। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে ওঠা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে লোকশিল্পের প্রসার প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকল্পের অধীনে জেলার ১২ হাজার ১১০ জন লোকশিল্পী (সঙ্গীত ও নৃত্য) মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা পান। জেলার এই লোকশিল্পীদের উৎসাহ দিতেই তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ এমন পরিকল্পনা করেছে। প্রশাসনের এক সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় যে লোকশিল্পীদের মানোন্নয়ন হয়েছে সেটাও তুলে ধরার চেষ্টাও করছে জেলা প্রশাসন। এর আগে ঝাড়গ্রামে জেলা গঠনের সভায় এ ভাবেই পৃথক মঞ্চ গড়ে লোক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছিল। অবশ্য জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভায় এই ভাবনা অভিনব। তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদার বলেন, “এত দিন এই জেলায় প্রশাসনিক জনসভা হলে মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়ে লোকশিল্পীরা মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতেন। এ বার বাছাই করা লোকশিল্পীদের দিয়ে আলাদা মঞ্চে দু’ঘণ্টার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। জেলার লোকশিল্পের প্রসারে এই আয়োজন।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE