Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Didir Suraksha Kavach

‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ এ বার পুর এলাকাতেও

প্রথম ধাপে গত ১১ জানুয়ারি থেকে তৃণমূল জেলা সভাপতি ও বিধায়করা বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় ওই কর্মসূচি পালন করেছেন।

এবার পুরএলাকাতেও ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’।

এবার পুরএলাকাতেও ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। — ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:২৬
Share: Save:

আসন্ন পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটের আগে জনসংযোগের মাধ্যমে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কর্মসূচিতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পকে মানুষের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনতে এবং দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন এবং রাত্রিবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের নেতৃত্বদের।

প্রথম ধাপে গত ১১ জানুয়ারি থেকে তৃণমূল জেলা সভাপতি ও বিধায়করা বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় ওই কর্মসূচি পালন করেছেন। অন্যান্য জেলার সাথে পূর্ব মেদিনীপুরেও ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি পালন করেছেন দলের বিধায়ক ও জেলা সভাপতিরা। দ্বিতীয় দফায় আজ, শনিবার থেকে ওই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে তমলুক সাংগঠনিক জেলায়। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি ও আসন্ন পঞ্চায়েত-পুরসভার নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে শুক্রবার তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। বৈঠকে দলের জেলা কমিটির সদস্য, বিধায়ক, ব্লক সভাপতি ও শাখা সংগঠনের জেলা সভাপতিরা ছিলেন।

দলীয় সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে সৌমেন মহাপাত্র দলের সমস্ত জেলা কমিটির সদস্য ও ব্লক সভাপতিদের ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি পালন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পঞ্চায়েত এলাকার পাশাপাশি পুরসভা এলাকাতেও ওই কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়েছে। তমলুক সাংগঠনিক জেলায় থাকা মোট ১১টি ব্লক ও তমলুক, হলদিয়া ওপাঁশকুড়া পুরসভা এলাকায় ওই কর্মসূচি পালনের জন্য ব্লক ও শহর সভাপতি-সহ অন্যান্য নেতৃত্বদের নিয়ে ‘টিম’ তৈরি করা হবে। প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় তিনটি টিম থাকবে। প্রতি টিমে ৫ জন থাকবেন। একই ভাবে পুরসভা এলাকাকে একাধিক এলাকায় ভাগ করে ওই কর্মসূচি পালন করা হবে। তমলুক পুরসভাকে ৫টি, পাঁশকুড়া পুরসভাকে ৩টি ও হলদিয়া পুরসভাকে ৪টি এলাকায় ভাগ করে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি পালন করা হবে। শনিবার থেকেই দ্বিতীয় পর্যায়ের ওই কর্মসূচি শুরু করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিরোধী দলের সমর্থকদের বাড়িতে যাওয়াকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কর্মসূচি পালনের দিনেই তার বিষয়ে ছবি-সহ রিপোর্ট পাঠাতে হবে নির্দিষ্ট ‘অ্যাপ’-এর মাধ্যমে। ওই রিপোর্ট পর্যালোচনা করা হবে। সৌমেন বলেন, ‘‘দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি পালন শুরু হবে শনিবার থেকে। জেলা ও ব্লক নেতৃত্বরা ওই কর্মসূচি পালনে বুথে বুথে যাবেন।পঞ্চায়েত ও পুরসভা দুই এলাকাতেই কর্মসূচি পালন করতে হবে। কর্মসূচি পালনে কোনওরকম ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না।’’চড়া ফলের বাজার

নিজস্ব সংবাদদাতা

এগরা: শিবরাত্রির আগে ফলের দাম আগুন। ব্রত পালনে চড়া বাজারে গিয়ে স্বল্প কিছু ফল নিয়েই ফিরছেন বাড়ির কর্তারা। ব্যবসায়ীরা দাবি, জোগান নেই ফলের দাম অন্য বারের তুলনায় একটু বেশি।

শনিবার শিবরাত্রি ও রবিবার শিব চতুর্দশী। শিবরাত্রিতে অনেকেই নির্জলা উপবাস করেন। উপবাস শেষে শিব চতুর্দশীতে তাঁরা শিবের মাথায় জল ঢেলে ফলাহার করেন। শিবরাত্রিতে ব্রতীরা আগুনের তাপে রান্না করা কোনও খাদ্য গ্রহণ করেন না। শুধুমাত্র তাঁরা ফল ও সাবু ভেজানো খেয়ে থাকেন। ফলের দাম চড়া থাকায় তাঁরা এবার অসুবিধায় পড়বেন।

শুক্রবার থেকে ফলের বাজারে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। বাড়তি চাহিদায় ফলের দামও দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। গত ছ’মাস বৃষ্টি না হওয়ায় শশা, রাঙাআলু, রসালু গ্রামীণ এলাকায় সে ভাবে ফলেনি। বাইরে থেকে সবটাই আমদানি করতে হচ্ছে। শিবরাত্রি উপলক্ষে শুক্রবার থেকে বাজার ও বাসস্টপগুলোয় অস্থায়ী ফলের দোকান অনেকটাই বেড়েছে। বাড়তি উপার্জনে এই দু’দিন অন্য পেশার লোকজনও ফলের দোকান দিয়েছেন। দোকানের সংখ্যা বাড়লেও ফলের দাম কমেনি, উল্টে বেড়েছে। শুধুমাত্র এগরা শহরে ৫০টির বেশি ফলের দোকান রয়েছে।

শুক্রবার শশা ৪০ টাকা, তরমুজ ৩০ টাকা, রসালু ২০ টাকা, আপেল ১৫০ টাকা, বেদানা ১৮০ টাকা, কুল ৪০ টাকা, আঙুর ১৫০ টাকা কেজিতে এবং কলা প্রতিটি ৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খেজুর, কমলালেবু, নাসপাতির দামও বেশি। সকাল থেকে কুদি, পাথরঘাটা, রাসন-সহ এলাকার শিব মন্দির সংলগ্ন বাজারের দোকানগুলোয় ফলের বাড়তি যোগান রয়েছে। অনেক পুজো কমিটি চতুর্দশীর ব্রতীদের জন্য জল ও ফল বিতরণ করেন। কমবেশি শনিবার ও রবিবার ফল কেনেন অনেকে। ফলের চড়া দামে হাতে ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্ত পরিবারের। রসালু ও শসা-সহ অল্প ফল নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা।

সুনীল কুইলা এগরা বাজারে এসেছিলেন ফল কিনতে। তিনি বলেন, ‘‘গত বছরের তুলনায় এবারে ফলের বাজার দর অনেকটাই বেশি। বাধ্য হয়ে সস্তার কিছু ফল নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।’’ ফল বিক্রেতা প্রভাব দণ্ডপাঠ বলেন, ‘‘এবারে পাইকারি বাজারে ফলের দাম বেশি। সেই কারণে খুচরো ফলের দাম বেড়েছে। পুজোর জন্য সেই তুলনায় ফলের যোগান নেই। ক্রেতারা কাটছাঁট করে ফল কিনছেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Didir Suraksha Kavach Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy