Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

মুখোমুখি দুই লরি, পুড়ে মৃত চালকেরা

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সংঘর্ষের পরে দু’টি লরিতেই আগুন ধরে যায়। অগ্নিদ্বগ্ধ হয়েই দুই চালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম জানার চেষ্টা চলছে। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত এক চালকের নাম কৃষ্ণা যাদব (৩৯)। কৃষ্ণা বিহারের সিয়ানের গড়িয়াপতির বাসিন্দা।

ভয়াবহ: দুর্ঘটনার পরে পুড়ে যাওয়া দুই লরি। (ইনসেটে) তখনও জ্বলছে লরি। নিজস্ব চিত্র

ভয়াবহ: দুর্ঘটনার পরে পুড়ে যাওয়া দুই লরি। (ইনসেটে) তখনও জ্বলছে লরি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শালবনি শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ০০:৪৬
Share: Save:

দু’টি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দুই চালকের। সোমবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির গাইঘাটায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। আহত হয়েছেন দুই খালাসি। তাঁরা মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সংঘর্ষের পরে দু’টি লরিতেই আগুন ধরে যায়। অগ্নিদ্বগ্ধ হয়েই দুই চালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম জানার চেষ্টা চলছে। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত এক চালকের নাম কৃষ্ণা যাদব (৩৯)। কৃষ্ণা বিহারের সিয়ানের গড়িয়াপতির বাসিন্দা। তিনি পান বোঝাই একটি লরি চালাচ্ছিলেন। সেই লরির সঙ্গে স্টোন চিপস্ বোঝাই একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পান বোঝাই লরিটি চন্দ্রকোনা রোডের দিকে যাচ্ছিল। স্টোন চিপস্ বোঝাই লরিটি খড়্গপুরের দিকে আসছিল। জখম দুই খালাসি পান বোঝাই লরিতেই ছিলেন। তাঁদের নাম কানাইলাল দাস এবং রমেশ যাদব। বছর পঁয়তাল্লিশের কানাইলালের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের দেউলবাড়ে। বছর আটত্রিশের রমেশের বাড়ি বিহারের বালিয়ায়। আরেক মৃত লরি

চালকের নাম জানার চেষ্টা চলছে। স্টোন চিপস্ বোঝাই লরিতে কী চালক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না? স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই লরি থেকে শুধু চালকের দেহই উদ্ধার হয়েছে। আর কেউ ছিলেন কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লরিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। ততক্ষণে অবশ্য দু’টি লরির অনেকটাই পুড়ে গিয়েছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম হল শালবনির ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। শালবনির এক দিকে চন্দ্রকোনা রোড, গড়বেতা, অন্য দিকে মেদিনীপুর, খড়্গপুর। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই সড়কে প্রায়ই ছোট- বড় দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। ফের দু’টি প্রাণ গেল। পথ- নিরাপত্তা নিয়ে জেলায় ধারাবাহিক প্রচার চললেও দুর্ঘটনা কমছে না। স্থানীয়দের বক্তব্য, জাতীয় সড়কে গাড়ির গতিবেগ অনেক বেশি থাকে। সেই ভাবে পুলিশি নজরদারিও থাকে না। অনেক সময়েই চালকেরা গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না।

তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে জাতীয় সড়কে থাকা কয়েকটি এলাকাকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই জায়গাগুলিতে বাড়তি পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা করা হবে। জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার আশ্বাস, ‘‘দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও কমানোর সব রকম চেষ্টা চলছে।’’

এর জেরে কিছুক্ষণের জন্য জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পুলিশ পৌঁছনোর পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশ মনে করছে, এ ক্ষেত্রে লরি দু’টির গতিবেগ বেশি ছিল। তাই এই দুর্ঘটনা।

অন্য বিষয়গুলি:

Shalbani Accident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE