পরপর দু’টি স্কুলে তাণ্ডব চালাল দুষ্কৃতীরা। বেলদার খালিনা এলাকার খালিনা হাইস্কুল ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে কর্মীরা দেখেন, লন্ডভন্ড ঘর। বুধবার রাতেই দুষ্কৃতীরা এই দুই স্কুলে হানা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ।
স্কুল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে খলিনা হাইস্কুলের একতলার ঘরের দরজা খুলতে গিয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা দেখেন তালা ভাঙা। সন্দেহ হওয়ায় দোতলায় গিয়ে দেখা যায় প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়, শিক্ষকদের বসার ঘর, গ্রন্থাগার, গবেষণাগার-সহ ৬টি ঘরের তালা ভাঙা। পুলিশে খবর দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলের ছ’টি ঘরে থাকা ১৬টি আলমারি ভেঙে সমস্ত নথি লন্ডভন্ড করা হয়েছে। কিছু খোওয়া গিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে স্কুলের কম্পিউটার ও গবেষণাগারের বহু মূল্যবান সামগ্রী অক্ষতই রয়েছে বলে স্কুলের এক সূত্রে খবর। খালিনা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তপন জানা বলেন, “রাতের অন্ধকারে এই কাজ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু কী উদ্দেশ্যে দুষ্কৃতীরা এসেছিল সেটা বোঝা যাচ্ছে না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করুক।”
বুধবার রাতে খালিনা বাজারের কাছে যাত্রার আয়োজন হয়েছিল। যাত্রা দেখতে ভিড় জমিয়েছিল গ্রামের অনেকে। সেই সুযোগেই চোরেরা এই কাজ করেছে বলে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ। হাইস্কুলের কাছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়ে দেখেন, স্কুলের মূল প্রবেশপথ, করিডরের প্রবেশপথ ও অফিসঘরের দরজা ভাঙা। আলমারি থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকা খোওয়া গিয়েছে বলেও অভিযোগ। লন্ডভন্ড নথিপত্র।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুভাশিস দাস বলেন, “স্কুলের রান্নাঘরের মেরামতির কাজ চলছে। তাই বুধবারই স্কুলে ১৫ হাজার টাকা রেখেছিলাম। সেই টাকাই খোওয়া গিয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমার ধারণা স্থানীয় নেশাগ্রস্তরা এই কাজ করে থাকতে পারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy