প্রতীকী ছবি
সপ্তাহ ঘুরলেই দুর্গা পুজো। পুজো শেষে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। পুজো পরবর্তী সময়ে যে তাঁদের লম্বা লড়াই অপেক্ষা করছে, তা-ও জানাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু পুজোর আগেই সমস্যার সামনে চিকিৎসক-স্বাস্থ্য কর্মীরা।
বর্তমানে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলায় যাঁদের উপর নির্ভর করে স্বাস্থ্য প্রশাসন পরিচালিত, তাঁদের অনেকেই করোনা আক্রান্ত। কেউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, আবার কেউ রয়েছেন ‘হোম আইসোলেশনে’। ফলে উৎসবের এবং পরবর্তী গোটা মরসুমে কাদের নিয়ে যুদ্ধ সামলানো হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।
নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা সূত্রের খবর, একজন হাসপাতালের সুপার, দু’জন মেডিক্যাল অফিসার— যার মধ্যে আবার একজন কোভিড হাসপাতালে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত সুপার, দু’জন ব্লক পাবলিক হেলথ নার্স, জেলা কন্ট্রোল রুমের এপিডেমিয়োলজিস্ট, দু’জন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। একই সঙ্গে দুজন ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান কর্মী, ফার্মাসিস্ট, ডজন খানেক এএনএম, জিএনএম এবং আশা কর্মীও সংক্রমিত। একজন জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার, আইটিইউ মেডিকেল অফিসার অসুস্থ থাকায় কয়েকদিন তাঁরা হাসপাতালগুলিতে যাচ্ছেন না।
এই পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরে কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল, নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার একাধিক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যে সব লোকের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তা দেখেও স্বাস্থ্যকর্তারা রীতিমত আতঙ্কিত। প্রতি ১০০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হলে তার মধ্যে ১০ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলছে বলে নন্দীগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
তবে এ সবে থোড়াই কেয়ার আমজনতার! সরকারি পরামর্শ না মেনে পুজোর মরসুমে চুটিয়ে কেনাকাটা করছেন। অনেকেই আবার মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে দুর্গা প্রতিমা দেখার পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন। সপ্তাহ শেষে আবার দিঘা এবং মন্দারমণিতে পর্যটকদের ভিড়ও উপচে পড়ার আশা করছেন হোটেল মালিকেরা। এতেই অশনি সঙ্কেত দেখছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে কেউ অসুস্থ হলে, চিকিৎসা করার মত লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।’’ সাধারণ মানুষকে সজাগ এবং সতর্ক করার জন্য ইতিমধ্যে ফেসবুকের মত সমাজ মাধ্যমে সরব হয়েছেন নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (দ্বিতীয়) সমুদ্র কুমার সেনগুপ্ত। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় বলেন, ‘‘পরিষেবা দিতে গিয়ে স্বাস্থ্য প্রশাসকেরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এমন পরিস্থিতিতে পুজোর মরসুমে সাধারণ মানুষকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। অন্যথায় সাধারণ অসুখেও চিকিৎসকদের পাওয়া যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy