প্রতীকী ছবি
এক বেসরকারি হাসপাতালের দুই কর্মী স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রায় ১২ কিলোমিটার হেঁটে খড়্গপুর থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে এসেছিলেন শনিবার। এমনই দাবি করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কাউকে এতটা হাঁটতে হবে কেন, সেই প্রশ্ন তুলল এসইউসি।
রবিবার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরার দফতরে ওই নালিশ জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে ওই দল। স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক রশ্মি কমলের দফতরেও। এসইউসি-র ওই নালিশ প্রসঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘শনিবার বেশ কয়েকজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ হেঁটে এসেছেন বলে শুনিনি। খোঁজ নিতে হবে। খোঁজ না নিয়ে কিছু বলতে পারব না।’’
সম্প্রতি দাঁতনের এক বৃদ্ধের করোনা ধরা পড়েছে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে। ওই বৃদ্ধ শুরুতে মোহনপুরের কাছে এক হাসপাতালে, পরে রবীন্দ্রনগরের কাছে এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সূত্রের খবর, ওই দুই হাসপাতালের ৩৮ জন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। কয়েকজনের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। বাকি কর্মীদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বলা হয়েছে। এসইউসি-র দাবি, রবীন্দ্রনগরের ওই হাসপাতালে কর্মরত দুই স্বাস্থ্যকর্মীর বাড়ি খড়্গপুরে। এখন গণপরিবহণ বন্ধ। নির্দেশ মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বাধ্য হয়েই পায়ে হেঁটে মেদিনীপুর মেডিক্যালে যান তাঁরা।
এসইউসি-র জেলা সম্পাদক নারায়ণ অধিকারীর ক্ষোভ, ‘‘দু’জন স্বাস্থ্যকর্মী নিরুপায় হয়ে খড়্গপুর থেকে পায়ে হেঁটে মেদিনীপুর মে়ডিক্যালে এসেছিলেন। সেখানে তাঁদের করোনা পরীক্ষা না করে শুধু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন নির্বিকার হওয়ার জন্যই ওই দু’জনকে হেঁটে আসতে হয়েছে।’’ একইসঙ্গে মেদিনীপুরের ওই দুই বেসরকারি হাসপাতালের সব কর্মী এবং তাঁদের পরিবার, ওই বৃদ্ধ যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখন সেখানে থাকা অন্য রোগী এবং পরিবারের লোকজনদের করোনা পরীক্ষার দাবিও করেছেন তিনি।
এই দাবি শুনে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের উত্তর, ‘‘যাঁদের কোয়রান্টিন করার করা হয়েছে। যাঁদের করোনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন করা হচ্ছে। অহেতুক উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy