Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

বাজারে যেতেও ভয়, মনোবিদের কাছে

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থশঙ্কর দাশ বলছিলেন, ‘‘সম্প্রতি একজন যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁর করোনা আতঙ্কে বাজারে যেতেও ভয় হচ্ছিল।’’

ছবি পিটিআই।

ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৫৫
Share: Save:

করোনা আতঙ্কে বাজারে যেতেও ভয় পাচ্ছেন অনেকে। এমনই একজন ভয় কাটাতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থও হয়েছেন। ঘটনাটি মেদিনীপুরের।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থশঙ্কর দাশ বলছিলেন, ‘‘সম্প্রতি একজন যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁর করোনা আতঙ্কে বাজারে যেতেও ভয় হচ্ছিল।’’ ভয় কাটাতে ওই ব্যক্তিকে ঠিক কী পরামর্শ দিয়েছেন ওই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। ওই ব্যক্তিকে ভিড়ের সময়ে বাজারে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সিদ্ধার্থশঙ্কর ওই ব্যক্তিকে জানিয়েছেন, খুব সকালের দিকে কিংবা বেলার দিকে বাজারে যান। বাজার থেকে ফিরে পোশাক ছেড়ে ধুয়ে ফেলুন। বাজারে যাওয়ার সময়ে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন সিদ্ধার্থশঙ্কর। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁকে বলেছি, অহেতুক ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বাজারে ভিড় এড়িয়ে চললে এবং পরে নিয়ম বিধিগুলি মানলে শরীর সুস্থ থাকবে। বরং অহেতুক ভয় করলে মনের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।’’

ঘরবন্দিদশায় অনেকের উৎকন্ঠা, উদ্বেগ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মানসিক অবসাদ কাটাতে উদ্যোগী হয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, আধিকারিক এবং কর্মীদের জন্য খোলা হয়েছে অনলাইন কাউন্সেলিং সেল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নিজেকে মানসিক অবসাদগ্রস্ত বলে মনে হলে যে কেউ এই সেলে যোগাযোগ করতে পারেন। মনোরোগ চিকিৎসকেরা তখন তাঁর কাউন্সেলিং করবেন। এই অনলাইন কাউন্সেলিং সেলে রয়েছেন সিদ্ধার্থশঙ্কর। রয়েছেন আরও দু’জন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘মানসিক অবসাদ বা সমস্যা থেকে অব্যাহতি দিতেই ওই সেল চালু করা হয়েছে। কাউন্সেলিং হচ্ছে অনলাইনেই।’’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে কয়েকজন ওই সেলে যোগাযোগ করেছেন। কাউন্সেলিং করিয়েছেন। সিদ্ধার্থশঙ্কর বলেন, ‘‘সম্প্রতি একজন ই-মেল করে জানিয়েছেন, ঘরবন্দি অবস্থায় তিনি উৎকন্ঠায় ভুগছেন। একাধিক নেতিবাচক চিন্তাভাবনা তাঁর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ওঁকেও জানিয়েছি, অহেতুক দুর্ভাবনার কারণ নেই। নিজের পছন্দের কাজগুলি নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকলে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা মাথায় আসবে না।’’

মনোরোগ চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই সময়ে শরীরের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হবে। শরীরচর্চা করতে হবে। অবসাদ এলে পরিজন- পরিচিতদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে হবে। মনোরোগ চিকিৎসকেরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ১০০ জনের মধ্যে ২-৩ জনের করোনায় মৃত্যু হতে পারে। বাকি ৯৭-৯৮ জনই কিন্তু এই অসুখ কাটিয়ে উঠতে পারেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy