Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Mandarmani

সৈকতে নির্মাণ ভাঙল প্রশাসন

স্থানীয় সূত্রের খবর, গত তিন-চারদিন ধরে মন্দারমণিতে সমুদ্রের ধার ঘেঁষে একাধিক হোটেল নির্মাণের কাজ চালছিল।

ভাঙা হচ্ছে নির্মাণ। বৃহস্পতিবার মন্দারমণিতে। নিজস্ব চিত্র

ভাঙা হচ্ছে নির্মাণ। বৃহস্পতিবার মন্দারমণিতে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মন্দারমণি শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২০ ০২:৩৩
Share: Save:

তাজপুর, মন্দারমণিতে নতুন ভাবে কোনও নির্মাণ করা যাবে না জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতিতে মন্দারমণিতে বেআইনিভাবে হোটেল বানানোর অভিযোগ উঠল। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ওই নির্মাণ ভাঙা শুরু করল রামনগর-২ ব্লক প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্রের খবর, গত তিন-চারদিন ধরে মন্দারমণিতে সমুদ্রের ধার ঘেঁষে একাধিক হোটেল নির্মাণের কাজ চালছিল। স্থানীয়েরা এ ব্যাপারে স্থানীয় কালিন্দি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মন্দারমণি থানায় জানিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও নির্মাণ বন্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি বলে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে দু-দিন আগে একটি হোটেলের ছাদ ঢালাই হয়েছে। গভীর রাতে আলো জ্বেলে চলছে নির্মাণ।’’

কোনও ভাবে এ বিষয়ে খবর পান রামনগর-২ এর বিডিও অর্ঘ্য ঘোষ। এর পরেই তাঁর নেতৃত্বে এ দিন একটি প্রতিনিধি দল এলেকায় গিয়ে হোটেল মালিক কর্তৃপক্ষের কাছে নির্মাণের বৈধ কাগজ দেখতে চান। নথি দেখাতে না পারায় শুরু হয় হোটেল ভাঙার কাজ। পরিস্থিতি সামাল দিতে মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিডিও অর্ঘ্য ঘোষ বলেন, ‘‘এমনিতেই মন্দারমণিততে সব রকমের নির্মাণ কাজ বন্ধ। কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতির সুযোগে ওই হোটেল মালিক অতিরিক্ত অংশের নির্মাণ কাজ চালাচ্ছিলেন। আমরা তা ভেঙে দিয়েছি। ওই মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

নিষেধ সত্ত্বেও কেন নির্মাণ করা হচ্ছিল? এ ব্যাপারে ওই হোটেলের ম্যানেজার সমিত মণ্ডল জানান, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া, তাঁরা হোটেলে নির্মাণের কাজ করছিলেন না। কিছু জিনিস হোটেল চত্বরে বিক্ষিপ্তভাবে পড়েছিল। সেগুলি রাতে আলো জ্বেলে ছাদের উপরে তোলা হচ্ছিল।

কিন্তু এলাকার বাসিন্দারা বারবার জানানো সত্ত্বেও কেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে পদক্ষেপ করল না, সে নিয়ে বেজায় চটেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে ফোন করা হয়েছিল কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বপনকুমার দাসকে। তবে তিনি ফোন ধরেননি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy