Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

অ্যান্টিবডি দুর্বল দু’মাসেই!

জুলাইয়ের শেষ এবং অগস্টের প্রথম-এই দু’সপ্তাহ ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরে সেরোলজিক্যাল সার্ভে হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২০ ০২:৩৪
Share: Save:

জেলার বেশিরভাগ করোনা আক্রান্তের শরীরে অ্যান্টিবডি শক্তি হারাচ্ছে দু’ আড়াই মাসের মধ্যেই। সমীক্ষায় সামনে এল এমনই তথ্য।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ উদ্যোগে সমীক্ষা হয়েছে। সমীক্ষার জন্য করোনা আক্রান্ত ৩০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১১ জনের আইজি-জি (ইমিউনোগ্লোবিউলিন-জি) রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। বাকি ১৯ জনের আইজি-জি রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ ৬৩.৩৩ শতাংশের ফের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।

অন্যতম সমীক্ষক তথা জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী মানছেন, ‘‘একবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও অনেকের শরীরে তার স্থায়িত্ব খুব বেশি দিন হচ্ছে না।’’

জুলাইয়ের শেষ এবং অগস্টের প্রথম-এই দু’সপ্তাহ ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরে সেরোলজিক্যাল সার্ভে হয়েছে। শরীরে রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, দেখার জন্য রক্ত পরীক্ষার নাম সেরোলজিক্যাল টেস্ট। ৩০টি এলাকা থেকে ৪৫৮ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। দেখা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দাদের অনেকেই নিজেদের অজান্তে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (অ্যান্টিবডি) তৈরি হওয়ায় তাঁরা সেরেও উঠছেন। সেরোলজিক্যাল সার্ভের (আইজি-জি পরীক্ষা) তথ্য বলছে, প্রায় ৪ শতাংশ জেলাবাসীর দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে।

প্রধান সমীক্ষক ছিলেন সৌম্যশঙ্কর এবং মেডিক্যালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান পার্থসারথি শথপতি। সমীক্ষায় সহযোগিতা করেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল, মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া সোহম সারেঙ্গী।

জেলার জনসংখ্যা ৫২ লক্ষ ৪০ হাজার। জেলার সবমিলিয়ে ২১৯টি গ্রাম এবং ওয়ার্ডে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। সমীক্ষকদের মতে, অসুখ কতটা ছড়িয়েছে সে সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া গিয়েছে সমীক্ষার মাধ্যমে। রোগ ছড়িয়ে পড়ার গতিপ্রকৃতিও কিছুটা বোঝা গিয়েছে।

জেলায় যে ৪৫৮ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল তারমধ্যে ১৯ জনের আইজি- জি রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বাকি ৪৩৯ জনের আইজি-জি রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ ৪.১৫ শতাংশের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। এঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ, অজান্তেই এঁরা আক্রান্ত হয়েছেন। আবার সেরেও উঠেছেন।

সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে ঘাটালে, ১২.৫০ শতাংশ। এ রাজ্যেও প্লাজমা থেরাপি শুরু হয়েছে। কিন্তু যে ভাবে দু-তিন মাসের মধ্যেই আক্রান্তের শরীরে মারাত্মকভাবে ইমিউনিটি কমে যাওয়ার তথ্য সামনে এসেছে তা ভাবাচ্ছে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের অনেককেই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy