মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ। —ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সন্দেহে পশ্চিম মেদিনীপুরে নতুন করে আরও ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে প্রশাসনের এক সূত্রে খবর। ওই সূত্র জানাচ্ছে, ওই ১৪ জনের কিছু উপসর্গ ছিল। সব দিক খতিয়ে দেখেই বৃহস্পতিবার ৫জন ও শুক্রবার ৯জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে মেদিনীপুর মেডিক্যালেই। এ নিয়ে জেলায় করোনা পরীক্ষার জন্য ১৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে প্রথম মেদিনীপুর মেডিক্যালেই করোনা পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)। কিটও এসেছিল। তবু এখানে করোনা পরীক্ষা চালু নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছিল। শেষে বৃহস্পতিবার থেকে এখানে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
এর আগে জেলা থেকে নমুনা পাঠাতে হচ্ছিল কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা নাইসেডে (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস)। জানা যাচ্ছে, আগে সংগৃহীত ৪ জনের নমুনাই নাইসেডে পাঠানো হয়েছিল। ২টি রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। বাকি ২টি নমুনা পরীক্ষা না করেই ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল নাইসেড। জানিয়েছিল, যথাযথ নিয়ম না মেনেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
নতুন করে সংগৃহীত ১৪জনের নমুনা অবশ্য মেদিনীপুর মেডিক্যালেই পরীক্ষা করা হচ্ছে। মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু মানছেন, ‘‘শুরুতে এখানে কালেকশন সেন্টার ছিল। তখন নমুনা সংগ্রহ করে
পাঠানো হয়েছে নাইসেডে।
তবে এখন এখানেই নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে।’’
শতাংশের নিরিখে অবশ্য সন্দেহভাজনদের মধ্যে অনেক কমজনেরই করোনা-পরীক্ষা হচ্ছে। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত বিদেশ এবং ভিন্ রাজ্য থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরেছেন ২০,৪৮৩ জন। বিদেশ থেকে ১৭৫ জন, ভিন্ রাজ্য থেকে ২০,৩০৬ জন। এর মধ্যে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে মাত্র ১৮ জনের।
কেন সন্দেহভাজনদের মধ্যে এত কমজনের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে? জেলার স্বাস্থ্য ভবনের এক সূত্র জানাচ্ছে, সম্প্রতি করোনা-পরীক্ষার (কোভিড-১৯) নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মবিধি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সব সন্দেহভাজনদের নমুনা সংগ্রহের প্রয়োজন নেই। কয়েকটি ক্ষেত্রে যেমন যে সব ব্যক্তি ১৪ দিনের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন, সর্দি, কাশি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ রয়েছে, বা করোনা-পজিটিভ রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি, যাঁদের ওই সমস্ত উপসর্গ দেখা দিয়েছে, কিংবা উপসর্গ রয়েছে এমন নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের নমুনা সংগ্রহ করা যেতে পারে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরাও জানাচ্ছেন, ‘‘নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মবিধি রয়েছে। যাঁদের সংক্রমণের লক্ষণ থাকছে, তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy