২০১১ থেকে ২০২৫। প্রায় ১৪ বছর পর বিধানসভায় আসন বদল হল প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় (বালু) মল্লিকের। আগামী বাজেট অধিবেশনে থাকবেন তিনি। তবে এত দিন বিধানসভায় যে আসন তাঁর জন্য নির্দিষ্ট ছিল, সেখানে বসতে পারবেন না। কারণ তিনি এখন আর মন্ত্রী নন। আপাতত তাঁর জন্য নতুন আসন নির্দিষ্ট করা হয়েছে বিধানসভায়। যদিও আগের আসনের থেকে তা খুব একটা দূরে নয়। বিধানসভায় ট্রেজ়ারি বেঞ্চের কাছেই বসবেন বালু।
রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে। বর্তমানে জ্যোতিপ্রিয় মন্ত্রী না-হলেও তিনি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বিধায়ক। তাঁর জন্য ট্রেজ়ারি বেঞ্চের কাছে তৃণমূলের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষের পাশের আসনটি বরাদ্দ করা হয়েছে। যাঁরা পূর্ণমন্ত্রী, সাধারণত তাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রেজ়ারি বেঞ্চে আসন নির্দিষ্ট করা থাকে। এত দিন সেখানেই বসতেন বালু। বিধানসভায় শাসকদলের প্রবীণ বিধায়কদের ট্রেজ়ারি বেঞ্চের কাছে বসতে দেওয়া হয়। এ বার থেকে ট্রেজ়ারি বেঞ্চের কাছে নতুন আসনে বসবেন প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়।
আরও পড়ুন:
২০১১ সাল থেকে জ্যোতিপ্রিয় রাজ্যের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ১০ বছর সামলেছেন খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। ২০২১ সালে তাঁকে বন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া, হাবড়ার তিন বারের বিধায়ক বালু। ২০০১ সাল থেকে তিনি রাজ্য বিধানসভার সদস্য। আগে বিরোধী আসনে বসতেন। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ট্রেজ়ারি বেঞ্চে তাঁর জায়গা পাকা হয়েছিল। কারণ, তখন থেকেই তিনি মন্ত্রী।
সম্প্রতি রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়ায় জ্যোতিপ্রিয়ের। ২০২৩ সালে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। ১৪ মাস জেলবন্দি থাকার পর গত ১৫ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গ্রেফতার হওয়ার পরেও দীর্ঘ দিন মন্ত্রিত্বে ছিলেন বালু। পরে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই কারণেই বিধানসভায় পুরনো আসনে বসতে পারবেন না প্রাক্তন খাদ্য এবং বনমন্ত্রী। জেলমুক্তির পর তাঁকে বিধানসভার দু’টি স্ট্যান্ডিং কমিটির দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। লোকাল ফান্ড অ্যাকাউন্ট এবং অচিরাচরিত শক্তি দফতরের (পাওয়ার অফ নন-কনভেনশনাল এনার্জি সোর্সেস) স্ট্যান্ডিং কমিটির দায়িত্ব পেয়েছেন বালু।