প্রতীকী ছবি।
২ থেকে ফারাক বেড়ে হল ৪। পশ্চিম মেদিনীপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঠিক কত— রাজ্য ও জেলার হিসেব এখনও মিলছে না। এর আগে রাজ্যের হিসেব অনুয়ায়ী জেলার করোনা আক্রান্ত ছিলেন ১৩ জন, জেলার হিসেবে সংখ্যাটা ছিল ১১। জেলার হিসেবে এখনও সংখ্যাটা ১১ই আছে। তবে রাজ্যের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তা বেড়ে হয়েছে ১৫।
কেন তথ্যের এই ফারাক? সদুত্তর এড়িয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরার জবাব, ‘‘এ জেলায় ১১ জনেরই করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ৯ জন ইতিমধ্যে রোগমুক্তও হয়েছেন।’’ গিরীশচন্দ্রের দাবি, এখন জেলায় ‘অ্যাক্টিভ কোভিড-১৯ কেস’-এর সংখ্যা ২। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সংযোজন, ‘‘শুনেছি এই সময়ের মধ্যে এমন ৩ জনের করোনা ধরা পড়েছে, যাঁরা এ জেলার বাসিন্দা, কিন্তু এখন অন্যত্র রয়েছেন।’’ জেলার স্বাস্থ্যভবনের এক সূত্র মনে করছে, রাজ্যের তথ্যে ওই ৩ জন আক্রান্তকে পশ্চিম মেদিনীপুরের করোনা আক্রান্ত তথ্যের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু সেই হিসেবেও তো আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হয়, ১৫ কেন? তবে কি দাঁতনের সেই বৃদ্ধকেও ওই আওতায় আনা হয়েছে? পড়শি রাজ্যে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন যাঁর মৃত্যু হয়েছে? জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধ ওড়িশায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তাঁর করোনা ধরা পড়ে। পরবর্তী সময়ে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ওই বৃদ্ধের নাম ওড়িশার তালিকায় রয়েছে। ওঁর নাম জেলার তালিকায় থাকার কথা নয়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এখানে তথ্য গোপন করার কিছু নেই। ওই আক্রান্তের ব্যাপারে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইব।’’
জানা যাচ্ছে, সোমবার রাজ্যের তরফ থেকে ফের জেলাওয়াড়ি করোনা আক্রান্তের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। রাজ্য জানিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে ‘কেস রিপোর্ট’ (করোনা পজ়িটিভ) হয়েছে ১৫টি। সর্বশেষ ‘কেস রিপোর্ট’ হয়েছে ৩ মে। জেলার স্বাস্থ্যভবন সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১। এঁরা হলেন—খড়্গপুরের ৭ জন আরপিএফ জওয়ান, দাসপুরের একই পরিবারের ৩ জন এবং ঘাটালের এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক। আর জেলায় সর্বশেষ ‘কেস রিপোর্ট’ হয়েছে ৩০ এপ্রিল। জেলা আরও জানাচ্ছে, কোভিড-কারণে এখানে এখনও কারও মৃত্যু হয়নি। একই দাবি রাজ্যেরও। অর্থাৎ মৃত্যুর তথ্যে রাক নেই।
অবশ্য সোমবার রাতে জেলা স্বাস্থ্যভবনের ওই সূত্র জানতে পেরেছে, এই সময়ের মধ্যে এমন ৩ জনের করোনা ধরা পড়েছে, যাঁরা পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা, কিন্তু এখন অন্যত্র রয়েছেন। তাঁদের করোনা ধরা পড়েছে ভিন্ জেলাতেই। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা হয়েছে। দিন কয়েক আগে খড়্গপুর গ্রামীণের বাসিন্দা, বছর ছাপান্নর এক মহিলার করোনা ধরা পড়েছে হাওড়ায়। তিনি সেখানে ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। এর আগে খড়ারের বাসিন্দা, বছর সাঁইত্রিশের এক মহিলার করোনা ধরা পড়েছে হুগলিতে। স্বামীর চাকরি সূত্রে তিনি এখন সেখানেই থাকেন। অন্য দিকে, কেশপুরের বাসিন্দা, বছর পঁয়তাল্লিশের এক ব্যক্তির করোনা ধরা পড়েছে কলকাতায়। তিনি মাস তিনেক ধরে কলকাতায় রয়েছেন।
রাতে জানা গিয়েছে, জেলার ক্ষীরপাইয়ের বাসিন্দা, কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক বৃদ্ধের করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ হয়েছে। কলকাতাতেই তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়েছিল। ফলে, জেলার আক্রান্ত তালিকায় তাঁর নাম উঠবে না। তবে বছর চুরাশির বৃদ্ধের সংস্পর্শে আসা ৯ জনকে এ দিন চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদেরও করোনা পরীক্ষা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy