প্রতীকী ছবি।
ইচ্ছামতো হোমিয়োপ্যাথি ওষুধ খেয়ে ইতিমধ্যে দু’জন মারা গিয়েছেন। গুরুতর অসুস্থ ছিলেন আরও দু’জন। ওই একই ওষুধ খেয়ে শনিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মৃত একজনের মা-ও। তড়িঘড়ি তাঁকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ। মারিশদা বাজার এলাকার যে হোমিয়োপ্যাথি ওষুধের দোকান থেকে ওই তরল ওষুধ কেনা হয়েছিল বলে দাবি, সেই দোকানও ‘সিল’ করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই অবশ্য ওই ওষুধের দোকানের মালিক গা ঢাকা দিয়েছেন।
শনিবার রাতে ভরত দাস এবং পঙ্কজ দাসের মৃত্যুর পরে বিষক্রিয়ার কথা বলেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে এ দিন কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দুজনের শরীরের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষাক্ত অ্যালকোহলের নমুনা পাওয়ার উল্লেখ রয়েছে। তবে ওই অ্যালকোহল কী ধরনের তা জানতে ভিসেরা পরীক্ষা করা হবে। ইতিমধ্যে ওই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার সন্ধেয় কাঁথি-৩ ব্লকের শিল্লিবাড়ি গ্রামের পাঁচ জন একসঙ্গে হোমিয়োপ্যাথি তরল ওষুধ জলে মিশিয়ে পান করছিলেন। তাতেই অসুস্থ হয়ে ভরত এবং পঙ্কজ মারা যান। শনিবার রাতে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করাতে হয় ভরতের মা বছর চল্লিশের মেঠরি দাস। তিনিও ওই ওষুধ খেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ভরতের দিদি প্রতিমা জানান, ভাই ভিন্ রাজ্যে গাড়ি চালাতে গিয়েছিলেন। লকডাউনে ঘরবন্দি অবস্থায় ভরত মদের খোঁজ করছিলেন। কিন্তু পাননি। শুক্রবার মারিশদার দোকান থেকে হোমিয়োপ্যাথি ওষুধ কিনে এনে খান।
ভরত, পঙ্কজদের সঙ্গে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে যে দু’জনকে শনিবার আনা হয়েছিল, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের দুজনকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই হোমিয়োপ্যাথি ওষুধের দোকানদারের বিরুদ্ধে মারিশদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গঙ্গু দাস নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। দোকানদারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দোকানদারের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy