ফাইল চিত্র
করোনা সতর্কতার জেরে দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে হাওড়া ও খড়গপুরের মতো স্টেশনগুলিতে। বিদেশি যাত্রীদের ক্ষেত্রে শারীরিক পরীক্ষার মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বুধবার হাওড়া থেকে দিঘাগামী দুরন্ত এক্সপ্রেসে দুই বিদেশি পর্যটককে তমলুক রেল স্টেশনে নামানো হয় শারীরিক পরীক্ষার জন্য। ফ্রান্সের নাগরিক ওই তরুণ-তরুণী এদিন দুপুরে হাওড়া থেকে ট্রেনে চেপে দিঘা যাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। রেলপুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ট্রেনের এক টিকিট পরীক্ষক ওই তরুণ-তরুণীর যাতায়াতের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপরেই রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের তরফে ওই যাত্রীদের বিষয়ে খোঁজ নিতে মেচেদা স্টেশনে তাঁদের ট্রেন থেকে নামানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু ট্রেন ততক্ষণে মেচেদা স্টেশন পার হয়ে যাওয়ায় তমলুক স্টেশনে তাঁদের নামানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
দুপুর একটা নাগাদ ট্রেনটি তমলুক স্টেশনে পৌঁছলে রেলপুলিশ ওই তরুণ-তরণীকে ট্রেন থেকে নামিয়ে স্টেশনের ভিআইপি ওয়েটিং রুমে নিয়ে যায়। রেল ও প্রশাসন সূত্রের খবর, রেল দফতর থেকে জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর পরেই প্রশাসনের নির্দেশে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও তমলুক জেলা হাসপাতালের উদ্যোগে অ্যাম্বুল্যান্সে ওই তরুণ-তরুণীকে পর্যবেক্ষণের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।
জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, শারীরিক পরীক্ষায় তাঁদের কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। পরে ফরাসি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই তরুণ-তরুণীকে কলকাতায় কোয়রান্টিনে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্যস্বাস্থ্য নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘১৪ দিন আগে বিদেশ থেকে যাঁরা এখানে এসেছেন তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে ফ্রান্সের ওই তরুণ-তরুণী ৬ মাস আগে এদেশে এসেছিলেন। তখন থেকেই তাঁরা এখানে রয়েছেন। ওই সময় থেকে করোনার কোনও প্রভাব পড়েনি। তাই ওঁদের এখানে থাকায় কোনও অসুবিধা নেই বলে জানানো।’’
জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘ওই দুই ফরাসি পর্যটক দিঘায় বেড়াতে যাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তাঁদের পরীক্ষা করা হয়েছে। ফরাসি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।’’
তবে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই দিঘায় এ দিন এক বিদেশি পর্যটক হাজির হন। তিনি নিউ দিঘার একটি হোটেলে উঠেছেন। তাঁর নাম নোপা রিলাং এবং তিনি জার্মানির বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ওই বিদেশির শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে কিনা জেলা স্বাস্থ্য দফতর অন্ধকারে। ফলে ওই বিদেশিকে নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। এদিকে ওই বিদেশি পর্যটকের খোঁজে নিউ দিঘার ওই হোটেলে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। কাঁথির এসডিপিও অভিষেক চক্রবর্তী জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy