প্রতীকী ছবি।
জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপর্সগ নিয়ে মৃত যুবকের দেহের ময়নাতদন্ত হল না কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অভিযোগ, মারা যাওয়ার চব্বিশ ঘণ্টা পরেও সংগ্রহ করা হল যুবকের লালারসের নমুনা। করোনা উপসর্গে মৃত্যুর ঘটনায় একই সঙ্গে বিভ্রান্ত ও আশঙ্কিত মৃত যুবকের গ্রাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ভগবানপুর-১ ব্লকের কুরালবাড় গ্রামের গোপাল সিংহ জ্বর ও শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রবিবার রাতে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বাড়লে সোমবার সকালে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা শুরু আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকেরা চিকিৎসার গাফিলতি ও করোনা সন্দেহে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু অভিযোগ, মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পরেও দেহের ময়নাতদন্ত হয়নি। মৃত ব্যক্তির করোনা উপসর্গ থাকায় টানাপড়েন শুরু হয় দুই হাসপাতালের মধ্যে। মঙ্গলবার সকালে কাঁথি থেকে মৃতদেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যালে। যেহেতু করোনা উপসর্গ নিয়ে যুবকের মৃত্যু হয়েছে তাই আতঙ্কে কুরালবাড় গ্রামের মানুষ। জেলা স্বাস্থ্য দফতর মৃত যুবকের পরিবারের লোকজনদের হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেয়েছে। যুবকের গ্রামেও নজর রেখেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বুধবার মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের লালা রসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তবে কী কারণে মৃতদেহ মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো হল সেই বিষয়ে মুখ খোলেনি জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘মৃতদেহের ময়নাতদন্ত কাঁথিতে কেন হয়নি তা পুলিশের ব্যাপার। এই বিষয়ে কিছু জানা নেই।’’ এগরার এসডিপিও শেখ আখতার আলি বলেন, ‘‘ময়নাতদন্ত কেন হয়নি তা স্বাস্থ্য দফতরই ভাল বলতে পারবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy