Advertisement
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
Sand Mining

সৈকতে বালি চুরির নালিশ

গত বৃহস্পতিবার সারারাত ধরে দাদনপাত্রবাড় মৌজায় সমুদ্রের চর থেকে মাটি তুলে ফেলা হচ্ছে। সেখানে দেদার বালি চুরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এভাবেই চলছে বালি চুরি।

এভাবেই চলছে বালি চুরি। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামনগর শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:০৯
Share: Save:

উপকূল বিধি না মেনে দিঘা ও মন্দারমণির মতো পর্যটন কেন্দ্রে হোটেল কিংবা বহুতল লজ নির্মাণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ বার সমুদ্র সৈকতের ধারে গার্ডওয়ালের নাম করে বালি চুরির অভিযোগ উঠল মন্দারমণিতে।

আগামী রবিবার ভরা কটাল। তার দু’দিন আগে এক হোটেল মালিকের ব্যক্তিগত উদ্যোগে গার্ড ওয়াল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে মন্দারমনিতে। গত বৃহস্পতিবার সারারাত ধরে দাদনপাত্রবাড় মৌজায় সমুদ্রের চর থেকে মাটি তুলে ফেলা হচ্ছে। সেখানে দেদার বালি চুরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

প্রসঙ্গত, মন্দারমনি সংলগ্ন পাঁচটি মৌজায় বেশ কয়েক বছর ধরে সব ধরনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। সিআরজেড (কোস্টাল রেগুলেটেড জোন আইন) অনুযায়ী, এলাকায় কোনও রকম নির্মাণ কাজ করা যাবে না বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, জোয়ারের সময় সমুদ্রের ঢেউ সৈকতে এসে যতদূর পৌঁছবে সেখান থেকে ৫০০ মিটার দূরত্বে কোনও নির্মাণ করা যাবে না। যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনের একাংশের অভিযোগ, গত কয়েক বছরে সেই নিয়ম না মেনে অসংখ্য হোটেল ও লজ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।

এ বার তাতে নতুন সংযোজন সমুদ্র সৈকত থেকে গার্ডওয়ালের নাম করে দেদার বালি চুরি। প্রশাসন সব জেনেও নীরব বলে দাবি স্থানীয় মানুষের। বিজেপির রামনগর -৪ নম্বর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার দাস বলেন, "সারারাত ধরে বালি চুরি হচ্ছে অথচ প্রশাসনের কাছে খবর নেই, হতে পারে না। সব জেনেও সৈকতের বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য শাসক দল এবং প্রশাসনের একাংশ মদত জুগিয়ে যাচ্ছে।" শুক্রবার সকালে বিষয়টি রামনগর-২ ব্লক প্রশাসন ও দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষকে জানান এলাকার বাসিন্দারা। তা সত্ত্বেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ।

যদিও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তনবীর আফজল বলেন, ‘‘ডিএসডিএ-র আধিকারিক এবং সংশ্লিষ্ট বিডিওকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট জমা পড়লে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।" রামনগর -২ ব্লকের ভূমি আধিকারিক এ দিন সকালে এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। যে ভাবে বেআইনি ভাবে বালি কেটে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার জন্য ওই হোটেলের মালিককে নোটিস দেওয়া হয়। হোটেল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কী অনুমতি পত্র তাঁদের রয়েছে, তাও দেখাতে
বলা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Ramnagar Illegal Sand Mining
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy