—প্রতীকী চিত্র।
গ্রামেই কোথাও লুকিয়ে রয়েছেন আসামি। গোপন সূত্র মারফতর খবর পেয়ে গোটা গ্রামে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তন্নতন্ন করে খোঁজা হচ্ছিল সেই পলাতক আসামিকে। কিন্তু কোথাও তাঁর হদিস মেলেনি। হঠাৎ খবর আসে, গ্রামের শেষ প্রান্তে একটি শৌচাগারে কেউ লুকিয়ে রয়েছেন! খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গেই ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকায়। অবশেষে সেই শৌচাগার থেকেই পাকড়াও করা হল আসামিকে।
উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের ঘটনা নিয়ে শোরগোলের মধ্যে গত বুধবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলে পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়েছিলেন চুরির মামলায় বিচারাধীন সোহেল রানা ওরফে রানা শেখ। চুরি হওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার করতে রানাকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। সেখানে পুলিশের উপর হামলা চালান রানার পরিবারের লোক এবং পড়শিরা। লাঠি, হাঁসুয়া নিয়ে পুলিশের উপর হামলা হয়। জখমও হয়েছিলেন এসআই। সেই সুযোগেই পালিয়েছিলেন রানা। তার পর থেকেই তাঁকে পাকড়াও করতে তৎপর হয় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে গোপন সূত্রে রানার খোঁজ মিলেছিল। তার ভিত্তিতেই সোমবার সাগরপাড়ার নওদাপাড়া এলাকায় হানা দেন তদন্তকারীরা। ডোমকল ও সাগরপাড়া থানার পুলিশের একটি দল যৌথ ভাবে অভিযান চালায়। গ্রামে পুলিশ আসার কথা জানতে পেরেই একটি পরিত্যক্ত শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েছিলেন রানা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, পুলিশের চোখে ধুলো দিতে গত তিন দিন ধরে একাধিক বার জায়গা বদল করেছিলেন রানা।
পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় রবিবার বিকেল পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান মীনা বিবি। এ বার মূল অভিযুক্ত রানাও গ্রেফতার হলেন। সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়েছে। ১০ দিনের জন্য রানাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy