মঙ্গলবার বিকেলে হেলিপ্যাড থেকে হোটেলের পথে মমতা। পিছনে শুভেন্দু অধিকারী ও অখিল গিরি।
দুপুর প্রায় ৩টে। নিউ দিঘার হেলিপ্যাডের উপরে খানিক চক্কর কেটে নীচে এল হেলিকপ্টার। তা থেকে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাকে স্বাগত জানাতে বেজে উঠল শতাধিক শাঁখ। মঙ্গলবার এভাবেই শতাধিক মহিলা দিঘায় কার্যত বরণ করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় পরে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন মেদিনীপুরের সভা সেরে তিনি দিঘায় পৌঁছন। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে দিঘা হেলিপ্যাডে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল, পরিববণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী-সহ জেলার প্রাশসনিক আধিকারিক এবং পুলিশের আধিকারিকেরা। হেলিপ্যাড থেকে মুখ্যমন্ত্রী সোজা যান ওল্ড দিঘার সৈকতাবাসে। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করার পরে বিকেল চারটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী সৈকতে হাঁটতে বার হন। সি-হক ঘাটে বেশ কিছুক্ষণ পায়চারি করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এবারের পূর্ব মেদিনীপুর সফর ঘিরে দিঘায় নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। যে সময় মুখ্যমন্ত্রী সি-হক ঘাটে হাঁটছিলেন, েস সময় জল পথেও এ দিন নজরদারি চলতে দেখা গিয়েছে। ওই সময় টহল দিয়েছে উপকূল রক্ষী বাহিনীর স্পিডবোট।
পর্যটন শহরে ঘুরতে এসে এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি দেখতে পেয়ে খানিকটা উচ্ছ্বসিত পর্যটকেরাও। বেহলা থেকে ঘুরতে এসেছেন তন্ময় মুখোপাধ্যায়। তন্ময় এ দিন বলেন, ‘‘শীতের শুরুতে দিঘায় ঘুরতে এসেছি। এখানে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে পাওয়া আমাদের মতো পর্যটকের কাছে বাড়তি পাওনা।’’ উল্লেখ্য, আজ, বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে বাজকুলে গিয়ে সভা করার কথা। সেখান থেকে বিকেলে তিনি ফের দিঘায় ফিরবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy