Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

প্রেক্ষাগৃহ নেই, সামিয়ানাই ভরসা

আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ! শুধুই স্বপ্ন। আজও রেলশহরে কোনও অনুষ্ঠান করতে হলে খাটাতে হবে সামিয়ানা। শুধু সামিয়ানা খাটালেই হবে না, বসার চেয়ার, ঘেরাটোপ তৈরি সে বিস্তর হ্যাপা।

হতশ্রী খড়্গপুরের একমাত্র কমিউনিটি হল (বাঁ দিকে)। অন্দরও বেহাল (ডান দিকে)। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

হতশ্রী খড়্গপুরের একমাত্র কমিউনিটি হল (বাঁ দিকে)। অন্দরও বেহাল (ডান দিকে)। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:২৮
Share: Save:

আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ! শুধুই স্বপ্ন।

আজও রেলশহরে কোনও অনুষ্ঠান করতে হলে খাটাতে হবে সামিয়ানা। শুধু সামিয়ানা খাটালেই হবে না, বসার চেয়ার, ঘেরাটোপ তৈরি সে বিস্তর হ্যাপা। আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ থাকলে এ সব ঝামেলা পোহাতে হত না। সে ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া নিলেই সমস্যা মিটে যেত।

আগামী ১০ ডিসেম্বর ‘খড়্গপুর শঙ্খমালা’র উদ্যোগে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে। সে জন্য মাস খানেক আগে থেকে অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ওই সাংস্কৃতিক সংস্থার সম্পাদক কৃশানু আচার্য বলেন, “দু’বছর আগে তৎকালীন পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেছিলেন প্রেক্ষাগৃহ গড়তে উদ্যোগী হন। যদিও আজও কিছু হল না। প্রেক্ষাগৃহ থাকলে অনেক কম খরচে কোনও ঝক্কি ছাড়াই অনুষ্ঠান করতে পারতাম।”

খড়্গপুরে রেলের দু’টি কমিউনিটি হল রয়েছে। সেখানে রেলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। যদিও ভাড়া বেশি বলে অনেকেই ওই হল ভাড়া করতে পারেন না। শহরের দুর্গামন্দির মুক্ত মঞ্চে কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।

শুধু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, প্রেক্ষাগৃহের অভাবে সমস্যায় নাটক-থিয়েটারের সংগঠকরা। সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘স্বর-আবৃত্তি খড়্গপুর’-এর সহ সম্পাদিকা লীনা গোপ বলছিলেন, “শহরে একটা প্রেক্ষাগৃহ থাকা জরুরি। পুরসভার উচিত প্রেক্ষাগৃহ গড়ে তোলা।” মালঞ্চ-র স্বরসঞ্চারির সম্পাদিকা রিনা ধরের কথায়, “স্থানীয় ক্লাব ঘর ভাড়া নিয়ে বছরে একটি অনুষ্ঠান করি। বড় অনুষ্ঠান করতে গেলে অনেক ঝক্কি। একটি প্রেক্ষাগৃহ থাকলে এত ঝক্কি থাকে না। পুরসভার এ বিষয়ে ভাবা উচিত।”

গিরি ময়দান স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় গড়ে ওঠা টাউন হলের দশা রুগ্‌ণ। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা কার্যত অসম্ভব। নতুন প্রেক্ষাগৃহ তৈরির বিষয়ে কী ভাবছে পুরসভা? পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “প্রেক্ষাগৃহ তৈরির জন্য রাজ্যের কাছে টাকা চেয়েছি। কিন্তু রাজ্য পুরো টাকা দিতে নারাজ। আমাদের কাছেও এত টাকা নেই। টাউন হলে পিপিপি মডেলে মাল্টিপ্লেক্স গড়ে সেখানেই প্রেক্ষাগৃহ তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

demonetisation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy