ফাইল চিত্র।
সদ্য বিজেপি-র যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক হয়েছেন অনুরণ সেনাপতি। রবিবার ঝাড়গ্রামে রাজ্যের পর্যবেক্ষক তথা বিজেপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এসেছিলেন সাংগঠনিক বৈঠক করতে। সেখানে দেখা গেল না অনুরণকে।
অনুরণের অনুপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ, অনুরণকে দেখা না গেলেও কৈলাসকে অভ্যর্থনা জানাতে রবিবার জেলা কার্যালয়ে হাজির ছিলেন নবনিযুক্ত জেলা যুব মোর্চার সভাপতি চন্দনেশ্বর সেনগুপ্ত, মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী রিমঝিম সিংহ, শিক্ষক সেলের নেতা অশোক মোহান্তির মতো শাখা সংগঠনগুলির অনেক নেতা-নেত্রীই। ফলে বিষয়টি নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে কি যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদকের পদ পেয়েও জেলা নেতৃত্বের উপরে অনুরণের ক্ষোভ মেটেনি? যদিও জেলা বিজেপি-র সভাপতি সুখময় শতপথীর দাবি, ‘‘রাজ্য পর্যবেক্ষকের বৈঠকে কেবলমাত্র দলের পদাধিকারীরা ছিলেন। শাখা সংগঠনের কার্যকর্তাদের বৈঠকে ডাকা হয়নি।’’
কিন্তু বৈঠকে না থাকলেও সর্বভারতীয় নেতাকে অভ্যর্থনা জানাতে কেন আসেননি অনুরণ? দলের এক জেলা নেতার ব্যাখ্যা, ‘‘অনুরণের এক আত্মীয় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে শুনেছি। সম্ভবত সেই কারণেই তিনি আসেননি।’’ কিন্তু রবিবারই অরণ্যশহরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আয়োজনে রক্তদান শিবিরে অনুরণকে হাজির থাকতে দেখা গিয়েছে। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তা অনুরণ স্বয়ং।
কেন গেলেন না? অনুরণ বলেন, ‘‘দলের তরফে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। তাই অনাহূত হয়ে যাইনি।’’ অনুরণের ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, তাঁর যে আত্মীয় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি অন্য গ্রামে থাকেন। তাঁর সঙ্গে অনুরণ সরাসরি কোনও সংস্পর্শেও আসেননি।
গত বছর লোকসভা ভোটের প্রচারে দশ লক্ষ টাকা খরচ করেও জেলা নেতৃত্বের কাছ থেকে সেই টাকা অনুরণ পাননি বলে অভিযোগ। সেটা নিয়েই জেলা বিজেপি-র নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সংঘাত বাধে। সমাজমাধ্যমে অনুরণের অনুগামীরা জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করেন। গত ২০ জুলাই দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পদ থেকে অনুরণকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে অনুরণও শক্তি পরীক্ষা দিতে বেলিয়াবেড়া ব্লকের ভামাল এলাকায় মিছিল করেন। বিভিন্ন ব্লকে গিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করতে শুরু করেন তিনি। ইতিমধ্যে সাঁকরাইল ব্লকে বিজেপি-র একাংশ দল ছাড়ার ঘোষণা করেন। কয়েকটি ব্লকে বিজেপি-র লোকজন তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলও অনুরণকে দলে নেওয়ার জন্য যোগাযোগ শুরু করে।
অনুরণকে বাইরে রেখে আসন্ন বিধানসভা ভোটে জেলায় বিজেপি-র সমস্যা হবে বলেই মনে করছিলেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরও অনুরণের সম্পর্কে কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সম্প্রতি কলকাতায় সদর কার্যালয়ে অনুরণকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি ও যুব মোর্চার রাজ্য নেতৃত্ব। এরপরে ৩০ অগস্ট কলকাতা থেকে যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক পদে অনুরণের নাম ঘোষণা করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy