এই পোস্ট ঘিরেই বিতর্ক।
প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি-সহ দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে এক যুবকের আপত্তিকর পোস্ট ঘিরে বিতর্ক ছড়াল ভগবানপুরে। ওই যুবকের বিরুদ্ধে তমলুক সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানাল বিজেপি।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা আইনজীবী অরুণ জেটলি শনিবার দুপরে দিল্লিতে মারা যান। এরপরই ফেস বুক সহ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ায় জেটলির প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানিয়ে একাধিক পোস্ট হতে থাকে। সূত্রের খবর ফেসবুকে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ভগবানপুর থানার জনাদাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় কুমার দাস নামে এক কংগ্রেস কর্মী নিজের প্রোফাইলে অরুণ জেটলির মৃত্যু নিয়ে আপত্তিজনক পোস্ট করে। একই সঙ্গে বিজেপি নেতাদের পর পর মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি এবং রাধানাথ সিংহের ছবি পোস্ট করে তির্যক ইঙ্গিত করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সঞ্জয়ের এ হেন পোস্ট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। একাধিক ব্যক্তি এই পোস্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। অভিযুক্ত যুবকের ফেসবুকে পোস্ট করা অংশে লেখা ‘দেশের অর্থনীতিকে পরলোকে পাঠিয়ে পরলোক গমন করলেন অরুণ জেটলি। ওনার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। আশা করি পরলোকে গিয়ে দেশের অর্থনীতিকে ইহলোকে পাঠানোর সুবন্দোবস্ত করবেন, যদিও সেই আশা খুব ক্ষীণ...’। তারপরেই নীতিন গড়কড়ি এবং রাধানাথ সিংহের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন ‘গোপীনাথ মুন্ডে, অনন্ত কুমার, মনোহর পারিক্কর, সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি...!!!। এবার কার পালা...???’। বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে এমন বিতর্কিত মন্তব্যের পরেই ভগবানপুর দক্ষিণ মণ্ডল বিজেপির সভাপতি দেবব্রত কর তমলুক সাইবার ক্রাইম থানায় শনিবার রাতে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সঞ্জয় কুমার দাস নামে ওই যুবক এলাকায় কংগ্রেস কর্মী হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, আগেও একাধিক বার ওই যুবক বিভিন্ন ভাবে বিতর্কিত মন্তব্য পোস্ট করেছেন। যদিও অভিযুক্ত সঞ্জয়ের দাবি, ‘‘আমি কোনও বিতর্কিত মন্তব্য পোস্ট করিনি। জেনে বুঝে এই ধরনের বক্তব্য লিখেছি। কোনও অন্যায় করিনি।’’
ভগবানপুর দক্ষিণ মণ্ডল বিজেপির সভাপতি দেবব্রত কর বলেন, ‘‘প্রয়াত কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী এবং দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে ভাবে অসম্মান জনক মন্তব্য করা হয়েছে তাতে অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তি চাই। সে জন্যই পুলিশের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’’
তমলুক সাইবার ক্রাইম থানার এক অফিসার জানান, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কংগ্রেস সভাপতি মানিক ভৌমিক বলেন, ‘‘দেশের কোনও শ্রদ্ধেয় নেতার মৃত্যু নিয়ে তির্যক মন্তব্য করা কংগ্রেস পার্টির সংস্কৃতি নয়। অভিযুক্ত যুবক কংগ্রেসের কর্মী নন। এই মন্তব্য সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত। তবে কংগ্রেসের তরফে এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy