Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

দুই সতিনের দ্বন্দ্বেও লাগল রাজনীতির রং

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম পুরসভায় ধুন্ধুমার বাধে। পুরভবনে ঢুকে আসবাবপত্র লন্ডভন্ড করার অভিযোগ ওঠে কিছু বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে।

তছনছ: পুরসভায় ভাঙচুরের পর। নিজস্ব চিত্র

তছনছ: পুরসভায় ভাঙচুরের পর। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:১২
Share: Save:

এক ব্যক্তির মৃত্যুর শংসাপত্রের দাবি করলেন তাঁর দুই স্ত্রী। আর সেখানেও জড়িয়ে গেল তৃণমূল-বিজেপি গোলমাল।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম পুরসভায় ধুন্ধুমার বাধে। পুরভবনে ঢুকে আসবাবপত্র লন্ডভন্ড করার অভিযোগ ওঠে কিছু বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। পরে পুরসভা চত্বরে পুলিশের সামনেই বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর গোবিন্দ সোমানির নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও আঙুল উঁচিয়ে ক্যামেরা বন্ধের হুমকি দেন গোবিন্দবাবু। সেই ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। পরে গোবিন্দবাবু বলেন, “আমি যা করেছি ঠিক করেছি। চেয়ারম্যানের নামে অকথ্য গালিগালাজ করছিল বিজেপি-র লোকজন। তারই প্রতিবাদ করেছি।”

কিছুদিন আগে ঝাড়গ্রাম শহরের নার্সিংহোমে মারা যান হরিপদ মাহাতো। ঝাড়গ্রামের শিরষি গ্রামের বাসিন্দা হরিপদবাবুর সম্পত্তির দাবিদার হিসেবে হাজির হয়েছেন তাঁর দুই স্ত্রী ও তাঁদের ছেলেমেয়েরা। পুরসভা থেকে স্বামীর মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে হরিপদবাবুর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী প্রমীলা মাহাতো নথিপত্র-সহ আবেদন করেছিলেন। পরে একই আবেদন করেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী করুণাবালা মাহাতো। এ ক্ষেত্রে পুর-কর্তৃপক্ষ বিয়ের বৈধ নথি চান। পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন শিউলি সিংহের দাবি, করুণাবালাদেবী আদালতের এফিডেফিট নিয়ে আসায় তাঁকে স্বামীর মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী প্রমীলাদেবী এ দিন তিনি বিজেপি-র কিছু লোককে নিয়ে পুরসভায় এসে স্বামীর মৃত্যুর শংসাপত্র দাবি করেন। হট্টগোল শুরু করেন বিজেপি-র কর্মীরাও। অভিযোগ, পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেবের নামেও কুকথা বলা হয়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে।

পুরপ্রধান তথা ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দুর্গেশ মল্লদেব বলেন, “পুরভবনের বাইরে কী ঘটেছে আমার জানা নেই।” তবে পুরভবনে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশে দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। আর বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথীর বক্তব্য, “আমাদের মেরেধরে আটকানো যাবে না। রাজনৈতিক ভাবে এর মোকাবিলা করব।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE