পাশাপাশি। নিজস্ব চিত্র।
রেলের কাজ নিয়ে একই দলের সাংসদ ও বিধায়কের দ্বিমতে বিভ্রান্তি বেড়েছিল। দিন কয়েক আগে রেলের ফুটব্রিজ উদ্বোধনে সাংসদ উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না বিধায়ক। তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল রাজনৈতিক মহলে। এ বার অবশ্য রেলশহরে দলীয় কর্মসূচিতে পাশাপাশিই দেখা গেল বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে খড়্গপুরের রামমন্দিরে বিদ্বজ্জনেদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল বিজেপি। মূলত বিজেপির শিক্ষক, অধ্যাপক, আইনজীবীদের এই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ। একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে রেলশহরের বিজেপি বিধায়ক হিরণকেও।
গত ১৪সেপ্টেম্বর বোগদায় দ্বিতীয় ফুটব্রিজ-সহ রেলের কাজ নিয়ে ডিআরএমের প্রশংসা করেন দিলীপ। কিন্তু দিন কয়েক পরেই সেই ফুটব্রিজ সংলগ্ন টিকিটঘর নির্মাণে নিযুক্ত শ্রমিকদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন হিরণ। ডিআরএমকে জবাব দিতে হবে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। গত ৩০সেপ্টেম্বর রেলের সেই ফুটব্রিজের উদ্বোধন করেন দিলীপ। সেখানে ফাঁকাই ছিল বিধায়কের আসন। তারপর দিলীপ ও হিরণের সম্পর্ক নিয়ে নানা চর্চা চলছিল। তবে এ দিন দিলীপের একেবারে পাশেই হিরণকে দেখা গিয়েছে।
এ দিন বিজেপির ‘সেবা ও সমর্পণ অভিযান’ কর্মসূচি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাফল্য নিয়ে আলোচনা হয়। বিদ্বজ্জনেদের সামনে তুলে ধরা হয় মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে গত ২০বছরে মোদীর দৃষ্টান্তমূলক কাজের খতিয়ান। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিজেপির সঙ্গে থাকার বার্তাও দেন দিলীপ। তার আগে রেলের হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মেদিনীপুরের সাংসদ। এ দিন উত্তরাখণ্ড থেকে প্রধানমন্ত্রী যে অক্সিজেন প্রকল্পের উদ্বোধন করে তার সরাসরি সম্প্রচার হয় ওই অনুষ্ঠানে। দেশের ১৯১টি অক্সিজেন প্রকল্পের সঙ্গে খড়্গপুর রেল হাসপাতালেও এই প্রকল্প গড়ে তুলতে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে জানান রেলের চিফ মেডিক্যাল সুপারিন্টেনডেন্ট।
দিনের শুরুতে তালবাগিচায় চা-চর্চায় গিয়ে পোস্টকার্ড বিলি করেন দিলীপ। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে মানুষ কী সুবিধা পাচ্ছে তা জানিয়ে সেই পোস্টকার্ড দেশের প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানোর আবেদন জানান তিনি। চা-চর্চার ফাঁকে দিলীপ বলেন, “নরেন্দ্র মোদী যে কাজ করেছেন তাতে মানুষ যে সুবিধা পেতে পারেন তা জানাতেই অভিযান চলছে। তার মধ্যে ‘কৃষক সম্মান নিধি’তে যে সুবিধা কৃষকরা পাচ্ছেন তা জানিয়ে তাঁরা এই পোস্টকার্ড পাঠাবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy