‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে বসে ফর্ম পূরণ করে দিচ্ছেন বিজেপি-র এক বুথ সভাপতি কালাচাঁদ মাহাল। —নিজস্ব চিত্র।
সিপিএমের পর এ বার বিজেপি। বিরোধী দল হয়েও রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে এসে সাধারণ মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল তারা। যদিও রাজ্যের সবর্ত্র এ ছবি দেখা যায়নি। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ি ব্লকের ‘দুয়ারে সরকার’-এর একটি শিবিরে বসে ফর্ম পূরণের কাজে হাত লাগালেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। স্বাভাবিক ভাবেই এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে তৃণমূল।
‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প নিয়ে কম কটাক্ষ করেননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই শিবিরকে ‘যমের দুয়ারে সরকার’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। তবে শুক্রবার কেশিয়াড়ি ব্লকের খাজরা স্কুলের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে অংশ নিয়েছেন বিজেপি-র কর্মী-সমর্থক থেকে স্থানীয় নেতৃত্ব— সকলেই। খাজরা পঞ্চায়েতের আমগেড়িয়া এলাকার বিজেপি-র বুথ সভাপতি কালাচাঁদ মাহাল স্কুলের বেঞ্চে বসে ফর্ম পূরণ করেছেন অনেকের। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কয়েক জন দলীয় কর্মী-সমর্থকও। শুক্রবারের শিবিরে বসে ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘কৃষকবন্ধু’, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর ফর্ম পূরণ করেছেন তাঁরা। তাঁদের মুখে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে। কালাচাঁদ বলেন, “এগুলি রাজ্য সরকারের ভাল ভাল প্রকল্প। সাধারণেরা সকলেই সুবিধা পান। মানুষকে পরিষেবা দিতেই এ কাজ করছি আমরা।”
বিরোধী দল হলেও সাধারণ মানুষের জন্য তৃণমূল সরকারের প্রকল্পে সাহায্যের হাত বাড়াতে অসুবিধা নেই বলেই মত বিজেপি জেলা সভাপতি সৌমেন তিওয়ারির। তিনি বলেন, “এই এলাকার পঞ্চায়েত বিজেপি দখলে। তাই সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করা দরকার। মানুষের জন্য কাজ করতে পাশে দাঁড়িয়েছে। এতে সমস্যা কোথায়?” বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। তিনি বলেন, “বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যেখানে সরকারের প্রকল্পের বিরোধিতা করছেন, সেখানে তাঁর দলের বুথ সভাপতি সাহায্য করছেন, তাতে সাধুবাদ জানাই। দেখে শেখা উচিত দিলীপবাবুর! রাজ্য সরকার মানুষের জন্য জনমুখী প্রকল্প চালু করেছে। সেখানে বিরোধিতা করার কিছু নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy