বিজেপির সাংবাদিক বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
উপ-নির্বাচনের আগে বহিরাগতরা শহরে ঢুকছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ বার সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ-মাফিয়া যোগের অভিযোগ বিজেপির। সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা, দলের জেলা সভাপতি শমিত দাস, ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক পবন সিংহ। সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে খড়্গপুরের এসডিপিওকে সরিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বার বিজেপির দাবি, টাউন থানার আইসি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকেও বদলি করতে হবে। ১৫ কোম্পানি আধাসেনা দিয়ে নির্বাচন করানোর দাবিও করেছে তারা।
মঙ্গলবার খড়্গপুরে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে প্রেমচাঁদ অভিযোগ করেন, ‘‘তৃণমূল আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। গত দু’দিন ধরে দলের নেতা-কর্মীদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও থানার অফিসারেরা থানায় ডেকে ধমকাচ্ছেন। তিন-চারজন দুষ্কৃতীকে প্যারোলে বের করে ও বাকি মাফিয়াদের বাড়ি-বাড়ি পাঠিয়েও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে দুষ্কৃতীরাও প্রচারে যাচ্ছে।’’ তিনি জানান, এক দিনের মধ্যে অবস্থার পরিবর্তন না হলে থানা ঘেরাও করা হবে।
বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাসের অভিযোগ, “দুষ্কৃতীদের তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। শহরে মাফিয়ারাজ ফেরানোর চেষ্টা করছে। আমরা প্রমাণ-সহ লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে সব জানিয়েছি।’’ এ দিন খোদ খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ ও টাউন থানার আইসি রাজা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ এনে বলা হয়, ইতিমধ্যেই ওই আইসি-র বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানানো হবে। খড়্গপুরের নির্বাচনী আধিকারিক তথা মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “আমাদের কাছে আইসি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছিল। আমরা তদন্ত করে জেলা পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি। সেখান থেকে জেলাশাসকের মাধ্যমে কমিশনে রিপোর্ট গিয়েছে।’’ অভিযোগ নিয়ে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “আমি সরকারি পদে রয়েছি। এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ টাউন থানার আইসির দাবি, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। এই বিষয়ে বলার এক্তিয়ারও আমার নেই।’’ দিন কয়েক আগে কৌশল্যায় বিজেপির বহিরাগতরা ঘুরছে এই অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। এ দিন সেই বিষয়টি তুলে বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাস বলেন, “তাহলে শুভেন্দু অধিকারী কেন এখানে আসছেন? তিনিও তো বহিরাগত।’’
পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহারের অভিযোগ মানেনি তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, ‘‘প্রেমচাঁদ নিজেই দুষ্কৃতী। পুলিশকে তাঁকে গ্রেফতার করতে বলেছি। বিজেপি প্রার্থী বিভিন্ন সরকারি অফিসে কর্মীদের প্রভাবিত করবেন বলে কমিশনে অভিযোগও জানাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy