উদযাপন: জন্মদিন পালন কচিকাঁচাদের। নিজস্ব চিত্র
কারও বাবা-মা কেউ নেই। কারও মা আছে বাবা নেই। কারওবা আবার উল্টোটা। অনাথ আশ্রমে বাস। তাই আর পাঁচজনের মতো জন্মদিন পালন এতদিন অলীক কল্পনা ছিল ভগবানপুর ২ ব্লকের পাঁউশি অনাথ আশ্রমের শম্পা, টুম্পা, রাধী, মালতি,মামণি ও নিলয়ের। কিন্তু যা ছিল কল্পনা অতীত তাই সত্যি হল রবিবার। অনাথ আশ্রমে পালন হল জন্মদিন। সৌজন্যে ভূপতিনগর থানা ও হুগলির একটি বেসরকারি সংস্থা।
আশ্রম প্রাঙ্গণে একসঙ্গে শম্পা, টুম্পা, রাধী, মালতি, মামণি ও নিলয়ের জন্মদিন পালন হয়। নতুন জামা পরে তারা কেক কাটে। আশ্রমের অন্য আবাসিকেরা শুভেচ্ছা জানায় তাদের। এ ভাবে জন্মদিন পালন হওয়ায় খুশি শম্পা, মালতি ও মামনিরা। শম্পার কথায়, “ভাবিনি এ ভাবে স্বপ্ন পূরণ হবে। পুলিশকাকুদের ও হুগলির উত্তরপাড়া থেকে আসা কাকুদের জন্য এমন জমজমাট জন্মদিন পালন হল। খুব ভাল লাগছে।’’
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু , ভূপতিনগর থানার ওসি অমরজিৎ বিশ্বাস-সহ আরও অনেকে। শুধু সাত শিশু নয়। এদিন সেই আশ্রমের সব শিশুদের দেওয়া হয়েছে নতুন পোশাক এবং শিক্ষাসামগ্রী। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ অনিল মুখোপাধ্যায়। আশ্রমের শিশুদের অতিথি আপ্যায়নে মুগ্ধ হয়ে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, এখানে গান শেখানোর ব্যবস্থা করবেন তিনি। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘অনাথ শিশুরাও সমাজের একটা অংশ। কে বলতে পারে, এদের মধ্যে থেকেই আগামীদিনে কোনও তারকা বেরিয়ে আসতে পারে। প্রতিভার ঠিক মত লালন পালন হলে এরাই দুনিয়াকে দেখিয়ে দেওয়ার মত কাজও
করতে পারে।’’
সাতজন শিশুর জন্মদিন ছিল মার্চ মাসে। এক সঙ্গে সকলের জন্মদিন পালনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল এপ্রিল মাসের পয়লা দিনকে। খাওয়া দাওয়া, নতুন পোশাকের সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এপ্রিল ফুল নয়তো! ঘোর কাটছিল না শম্পা, টুম্পাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy