প্রতীকী ছবি।
ব্যাঙ্কের পাসবই হাতিয়ে টাকা গায়েবের অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এ বার ব্যাঙ্ক থেকে গ্রাহকের এটিএম কার্ড হাতিয়ে দু’লক্ষেরও বেশি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল সুতাহাটায়। চৈতন্যপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওই শাখায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন দীপালি মাইতি ওই মহিলা গ্রাহক।
গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহে দীপালি ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন পাস বই আপডেট করতে। তখনই তিনি জানতে পারেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লক্ষ ১৭ হাজারের বেশি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
কী ভাবে এটা সম্ভব হল! দীপালির দাবি, কয়েক বছর ধরেই তিনি ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহক। প্রতি মাসে উপার্জনের টাকা তিনি অ্যাকাউন্টে জমা করতেন। টাকা তোলার জন্য এটিএম কার্ড পেয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে সেই কার্ড নষ্ট হয়ে যায়। তার পর তিনি নতুন এটিএম কার্ড নেননি। এদিকে ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়, গত ডিসেম্বর মাসে চিপ প্রযুক্তির নতুন এটিএম কার্ড অন্য গ্রাহকদের মতো ডাক মারফত দীপালি দেবীর বাড়িতেও পাঠানো হয়। যদিও স্থানীয় ডাক বিভাগ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরে দীপালি দেবীর ঠিকানা খুঁজে না পাওয়ায় তারা তাঁর নামে আসা এটিএম কার্ড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা করে দেয়। সেই সংক্রান্ত নথিও তাদের কাছে রয়েছে। এরপর দীপালি আর ওই এটিএম কার্ড নেননি। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আমার যে মোবাইল নম্বর যুক্ত করা ছিল, আমাকে না জানিয়ে সেটিও বদলে দেওয়া হয়। তাই একাধিকবার এটিএম কার্ডের মাধ্যমে টাকা তুলে নেওয়া হলেও, সেই সংক্রান্ত কোনও মেসেজ আমাপ মোবাইলে আসেনি।’’
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা তথা তমলুক ঘাটাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কমল চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘কোনও গ্রাহকের এটিএম কার্ড ব্যাঙ্কে সুরক্ষিতভাবে গচ্ছিত রাখার দায়িত্ব ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। তা সত্ত্বেও একজন গ্রাহকের এটিএম কার্ড কীভাবে তাঁর অজান্তে অন্য কেউ ব্যবহার করল তা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষেরই খতিয়ে দেখা উচিত।’’ ঘটনার পর প্রতারিত হয়েছেন বুঝে গোটা বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়ে গত ২৭ জুন ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ জানান দীপালি। তবে এখনও পর্যন্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কোনও অভিযোগেরই জবাব দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁর দফতরে ফোন করা হয়। কিন্তু কেউ ফোন তোলেননি। যদিও এদিন ব্যাঙ্কের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, দীপালি দেবীর অ্যাকাউন্ট থেকে কী ভাবে টাকা গায়েব হল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy