অরণ্যশহরে রামলাল, রবিবার। — নিজস্ব চিত্র।
রবিবার, ছুটিরদিন সকালে অরণ্যশহর ঝাড়গ্রামে ঢুকে পড়ল রেসিডেন্সিয়াল হাতি রামলাল। তারপর প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরল সে। তার পিছনে ঘুরে বেড়ালেন কয়েকশো মানুষ। যা নিয়ে ফের সামনে এল হাতি নিয়ে সচেতনতার অভাব। বন দফতরের দাবি, নিষেধাজ্ঞা এবং টানা প্রচারের পরও হাতি তাড়াতে মানুষের ঢল কমছে না। যদিও এদিন বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। অরণ্যশহরের অনেকে রসিকতা করে বলছেন, শহরে এ দিন যেন ‘প্রাতঃভ্রমণে ’ বেরিয়েছিল রামলাল!
খবর, এ দিন শহরে সকাল ছ’টা থেকে আটটা থেকে পর্যন্ত প্রায় দু’ঘণ্টা চক্কর কাটে হাতিটি। ফণীর মোড় থেকে বাঁ-দিকে ছবি আবাসনের পাশ দিয়ে ডানদিকে বিএসএনএল অফিসের সামনের রাস্তা ধরে বাঁ-দিক নিয়ে মডেল স্কুলের সামনে চলে যায়। তারপর তাড়া খেয়ে কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের সামনে চলে আসে। হাতিকে তাড়া করতে প্রচুর মানুষজন ভিড় জমান। অনেকে বাড়ির উপর থেকেও ছবি তোলেন।
কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড হয়ে তরুছায়ার মোড় দিয়ে রামলাল ঢুকে পড়ে সেরি-কালচার (রেশম) অফিসে। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয় রামলাল। পরে সেরি-কালচার অফিস থেকে বেরিয়ে শহরের কাঁটাবাড়ি এলাকায় হেলিপ্যাড চত্বরে ঢুকে পড়ে। কিছুক্ষণ ঘুরপাক খাওয়ার পর চুয়াড়বনের জঙ্গলের দিকে চলে যায়। আসেন বন দফতরের কর্মীরা, ঐরাবত গাড়িও। পৌঁছন ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমামও। অনেকেই বলছেন, রামলাল শান্ত স্বভাবের। তার বদলে অন্য দলছুট হাতি হলে বিপদ ঘটে যেত। আগেও শহরে একাধিকবার হাতি ঢুকেছে। হাতির হানায় মৃত্যুও হয়েছে।
ঝাড়গ্রামে হাতি আটকাতে বন দফতরের পক্ষ থেকে ব্যাটারি-চালিত বৈদ্যুতিক বেড়া লাগানো হয়েছিল। সেগুলি মাঝে মধ্যেই অকেজো হয়। হাতির হানায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গ্রামীণ এলাকার মানুষ। অভিযোগ, সে দিকে বন দফতরের ভ্রুক্ষেপ নেই। ডিএফও বলেন, ‘‘একটি হাতি শহরে ঢুকেছিল। সুরক্ষিত ভাবে বাইরে বার করা হয়েছে। হাতিটি তেমন ক্ষয়ক্ষতি করেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy