বিতর্কিত ব্যানার। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে ব্যানার-পোস্টার দেওয়া শুরু হয়েছিল গত বছরই। মূলত, কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে ওই পোস্টারগুলি পড়ত। কিন্তু এবার ‘আমপান’ ঝড়ের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির দুর্নীতিতেও ব্যানার পড়েছে তমলুক ব্লকের পদুমপুর-১ পঞ্চায়েতে। আর অভিযুক্ত কোনও হেনতেন তৃণমূল নেতা নন— এবার কাঠগড়ায় জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা!
শনিবার সকালে পদুমপুর-১ পঞ্চায়েতের জয়কৃষ্ণপুর, মিরিকপুর, কালিকাপুর, বাড়বসন্ত গ্রামে ওই ব্যানার দেখতে পান স্থানীয়েরা। তাতে, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরিতে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য এবং তৃণমূলের একাধিক স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে। ‘তৃণমূল যুব কংগ্রেস’ এবং ‘তৃণমূল বাঁচাও কমিটি’র নামে দেওয়া ওই ব্যানারে অভিযোগ করা হয়েছে ‘গুরু’ সোমনাথ এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা ‘শিষ্য’ দ্বীপনারায়ণ সাহুর দলকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ওই দু’জনকে দল থেকে হটানোর দাবিও করা হয়েছে।
ওই ব্যানার নিয়ে এলাকায় ব্যপক শোরগোল পড়েছে। ব্যানারে পদুমপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিঙ্কু মাইতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তিনি নিজের স্বামী প্রশান্ত মাইতির নাম রেখেছে ক্ষতিগ্রস্ত পান বরজ চাষির তালিকায়। প্রধানের ভাসুর সুশান্ত মাইতির দোতলা পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বে তাঁর নাম রয়েছে বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায়। এছাড়া, আবাস যোজনায় উপকৃত পরিবারের কাছে ২০-২৫ হাজার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত প্রধান ছাড়াও একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নাম ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় রাখা হয়েছে বলে ব্যানারে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু বলেন, ‘‘আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিক তালিকায় কিছু ভুল থাকলেও তা সংশোধন করে নয়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। ব্যানার দেওয়ার পিছনে তৃণমূলের কেউ জড়িত কি না বলতে পারব না।’’ সোমনাথের বক্তব্য, ‘‘ব্যানার দেওয়ার ঘটনায় বিজেপির লোকজন জড়িত। আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছে পঞ্চায়েত। এতে আমার কোনও ভূমিকা নেই। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আমি আইনি পদক্ষেপ করছি।’’
এ দিকে, ব্যানারে ‘তৃণমূল যুব কংগ্রেস’ এবং ‘তৃণমূল বাঁচাও কমিটি’র নাম থাকায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। যদিও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের তমলুক ব্লক সভাপতি অর্ণব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ব্যানার দেওয়ায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কেউ জড়িত নন। এতে বিজেপি’র লোকজনই জড়িত। আমরা দলীয়ভাবে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি। দলের ঊর্ধ্বতন ও জেলা যুব তৃণমূল নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’ বিজেপি’র জেলা (তমলুক) সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডলের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়ে তমলুক ব্লকের প্রায় সব পঞ্চায়েতে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ হয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূলের লোকেরাই ব্যানার দিয়েছে। এতে আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy