Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
Fraud at egra

ভুয়ো নথিতে ঋণ, বিক্ষোভ

প্রতারিত মহিলাদের দাবি, গ্রামের অশিক্ষিত মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে তাঁদের ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিতেন পুষ্প।

অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও।

অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
এগরা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:৫৪
Share: Save:

অন্যের নথি হাতিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল এগরার শীপুরের এক মহিলার বিরুদ্ধে। যাঁদের নথি দিয়ে ওই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে, তাঁরা বৃহস্পতিবার অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করেন। যদিও সুযোগ বুঝে পিছনের দরজা দিয়ে স্বামীর সঙ্গে অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছেন বলে দাবি।

শীপুর গ্রামের বাসিন্দা পুষ্প শীট একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। এলাকার মানুষদের ঋণের প্রয়োজন হলে তিনি ওই সকল গ্রাহকদের সঙ্গে ব্যাঙ্কের যোগাযোগ করিয়ে দেন। এই কাজে তিনি কমিশন পেতেন। কাজের সুবাদে এগরা-সহ পড়শি ওড়িশা রাজ্যেও একাধিক বেসরকারি ব্যাঙ্ক শাখার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। সম্প্রতি তাঁর মাধ্যমে ঋণ নেওয়া কয়েকজন মহিলা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণখেলাপীর নোটিস পান। তখন প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসে।

প্রতারিত মহিলাদের দাবি, গ্রামের অশিক্ষিত মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে তাঁদের ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিতেন পুষ্প। সেই ঋণের কিস্তির টাকা অর্ধেক নিজে জমা করার প্রতিশ্রুতিও দিতেন। সেই প্রতিশ্রুতি মতো গ্রাহকদের কাছ থেকে ঋণের অর্ধেক টাকা নিতেন এবং পরে ঋণের কিস্তির টাকা আর শোধ করতেন না। এছাড়া, ঋণের জন্য দেওয়া মহিলাদের নথি পরে জাল করে একাধিক বেসরকারি ব্যাঙ্ক শাখা থেকে ঋণও পুষ্প নিতেন বলে অভিযোগ।

এ দিকে, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পরিশোধের চাপ আসলে প্রতারিতরা অভিযুক্ত মহিলার কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। দাবি, পুষ্প বিষয়টি অস্বীকার করেন। এর পরেই গত ১১ নভেম্বর এগরা থানায় পুষ্পর বিরুদ্ধে অভিযোগ জামা পড়ে। কিন্তু থানায় অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি বলে দাবি। তাই প্রতারিত মহিলা ও গ্রামবাসীরা বুধবার শীপুর গ্রামে পুষ্পর বাড়ি ঘেরাও করেন। বিক্ষোভ থেকে বাঁচতে স্বামীর সঙ্গে অভিযুক্ত মহিলা পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে বাড়ি থেকে প্রচুর ভুয়ো নথিপত্র উদ্ধার করেন বিক্ষোভকারীরা। শীপুরের বাসিন্দা রীতারানি দাস বলেন, ‘‘ওই মহিলা নিজে ঋণের কিস্তির অর্ধেক টাকা পরিশোধ করার নাম করে ঋণ পাইয়ে দেয়। সেই ঋণের টাকা থেকে অর্ধেক টাকা মহিলাকে দিতে হয়েছে। সেই টাকা কোনও মতে আমরা পরিশোধ করেছি। এর পরে আবার আমার ভুয়ো নথি দেখিয়ে অজ্ঞাতে আমার নামে ঋণ নিয়েছে ও। ব্যাঙ্ক টাকা পরিশোধের চাপ দিচ্ছে। পুলিশে অভিযোগ করেও কিছু হয়নি।’’

পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এগরা থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের পর তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Egra Fraudulent
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy