সেই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
লোকসভা ভোটের পরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্করের সঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছিল শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ-সভাপতি বামদেব গুছাইতকে। এ বার তাঁর বিরুদ্ধেই কেন্দ্রীয় সরকারে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ উঠল। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার পোস্টার পড়েছে মেচেদা বাজারের বিজেপি দলীয় কার্যালয় সহ বিভিন্ন জায়গায়। পাশাপাশি, ইউসুফ আলি ওরফে কাজল নামে আরেক জনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে পোস্টার দেওয়া হয়েছে।
‘বিজেপি মোর্চা ও নাগরিক বৃন্দে’র নামে ওই পোস্টারগুলি স্থানীয়দের নজরে আসে এ দিন সকালে। পোস্টারে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘কেন্দ্র সরকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন জেলার বেকার অসহায় যুবকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বামদেব গুছাইত। সেই টাকা অবিলম্বে ফেরত চাই। নচেৎ আমাদের চাকরি দেওয়া হোক’।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা এবং শান্তিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেলিম আলি, উপপ্রধান কৃষ্ণা সামন্ত রায় এবং তাঁর স্বামী প্রসেনজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে মেচেদা বাজার এবং সংলগ্ন এলাকায় পোস্টার পড়েছিল। সেবার ‘শ্রমিক বৃন্দে’র নামে দেওয়া ওই পোস্টারে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ওই নেতাদের বিরুদ্ধে।
এবার বামদেব এবং ইউসুফের বিরুদ্ধে পড়া পোস্টার ঘিরেও চাপানউতোর শুরু হয়েছে। ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠী রাজনীতিতে দিবাকর জানার বিরোধী হিসেবে পরিচিত বামদেব। গত বছর পঞ্চায়েত ভোটে দলের প্রার্থী পদের টিকিট পাননি তিনি। তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী সাহু গুছাইত খারুই-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে সদস্য নির্বাচিত হলেও প্রধান পদ পাননি। দিবাকরের বিপুল সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে অভিযোগ তোলা জয়দেব বর্মনকে সমর্থন করেছেন বামদেব।
পোস্টার প্রসঙ্গে বামদেব বলেন, ‘‘আমি এক সময় তৃণমূলের হয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পদে ছিলাম। যদি কাউকে চাকরি দেওয়ার সুযোগ থাকত তাহলে হয়তো রাজ্য সরকারের চাকরি করে দিতাম। কিন্তু তৃণমূলে থেকে কেন্দ্র সরকারের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার সুযোগ কীভাবে দেব। আমার বিরুদ্ধে এরকম কেউ প্রমাণ দিতে পারলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেব। বিজেপি নয় আমাদের দলেরই একাংশ এতে জড়িত।’’
তৃণমূলের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক আহ্বায়ক শরৎ মেট্যা বলেন, ‘‘বামদেবের বিরুদ্ধে কারা পোস্টার দিয়েছে, তার উল্লেখ রয়েছে। এতে আমাদের দলের সম্পর্ক নেই।’’
আর এক অভিযুক্ত ইউসুফ আবার দাবি করেছেন তিনি বিজেপি’র সঙ্গে যুক্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমি বিজেপি’র ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত। যদি টাকা নিয়ে থাকি, তা হলে ওঁরা আইনের দ্বারস্থ হোক। পোস্টার-কাণ্ডে তৃণমূলের হাত রয়েছে।’’
বিজেপির তমলুক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক অবশ্য ইউসুফকে দলের সদস্য বলে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ইউসুফ আমাদের দলের কেউ নন। বামদেবের বিরুদ্ধে পোস্টারে বিজেপি মোর্চা বলে যে সংগঠনের নাম উল্লেখ রয়েছে, আমাদের এ রকম কোনও সংগঠন নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy