মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। —ফাইল চিত্র
প্রশাসনিক বৈঠকে পুর-পরিষেবা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই এক নির্দেশিকা দিল পুর- দফতর। রাজ্যের যে সব পুরসভায় প্রশাসক রয়েছেন, সেগুলিতে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। পুর- দফতরের এক যুগ্ম- সচিব ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, পুর- পরিষেবাগুলির দিকে নিয়মিত নজর রাখতে হবে। নিয়মিত বৈঠক করতে হবে। উন্নয়নখাতে বরাদ্দ অর্থ ঠিকভাবে খরচ করতে হবে।
সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার প্রশাসনিক বৈঠকে পুর- পরিষেবা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘যেখানে নির্বাচিত বোর্ড নেই, সেখানে প্রশাসকদের দায়িত্ব কিন্তু বেশি। নির্বাচিত সদস্য থাকলে তাঁরা নিজেরা নিজেদের ওয়ার্ডটা দেখতে পারেন। কিন্তু যখন তাঁরা থাকেন না, তখন পুরো দায়িত্বটা প্রশাসকের হাতেই চলে যায়। প্রশাসক হয়তো ভাবেন, আমি আমার চোখের সামনে যতটুকু দেখছি, আমার রুটিন কাজটা করে দিচ্ছি। রাস্তা, আলো, স্বাস্থ্য, পানীয় জল- সমস্ত কিছুর দায়িত্ব পুরসভার উপরই বর্তায়।’’ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘‘হাওড়ায় আমি অভিযোগ পেয়েছি। রাস্তা পরিষ্কার হচ্ছে না। আলো জ্বলছে না। আমাদের নির্বাচিতরা থাকলে এ সব করত। সাফাই হয় না, আলো জ্বলে না, কেন? পুর- পরিষেবা মানেই ডে- টু- ডে ওয়ার্ক। রোজ বসা দরকার।’’ ঘটনাচক্রে, এরপরই পুর- দফতর থেকে ওই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। নির্দেশে জানানো হয়েছে, পুর- এলাকায় নিয়মিত আবর্জনা সাফাই করতে হবে। এলাকা পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। নিকাশি নালা সাফাই করতে হবে।
নিয়মিত বৈঠক করার কথাও জানানো হয়েছে নির্দেশে। পাশাপাশি, উন্নয়নের বরাদ্দ অর্থ যাতে ঠিকভাবে খরচ হয়, সেদিকে নজর রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোথাও সমস্যা থেকে থাকলে দ্রুত তার সমাধান করার কথাও জানানো হয়েছে। মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক তথা পুরসভার চেয়ারপার্সন দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, ‘‘পুর- দফতরের নির্দেশ এসেছে। নির্দেশ মেনে যাবতীয় পদক্ষেপও করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy