সরস্বতী পুজোর মণ্ডপে শিশির অধিকারী। নিজস্ব চিত্র
মাস চারেক পর ‘অসুস্থতা’ কাটিয়ে ফের জনসমক্ষে কাঁথির তৃণমূল সাংসদ তথা অধিকারী পরিবারের কর্তা শিশির অধিকারী। সোমবার বাড়ির কাছে একটি সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে দেখা যায় তাঁকে। ‘গৃহবন্দি’ অবস্থা থেকে প্রকাশ্যে এলেও, রাজনীতি থেকে অবশ্য দূরত্ব বজায় রাখার কৌশলই নিতে দেখা গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পোড় খাওয়া ওই নেতাকে।
সোমবার রাতে নাতি দেবদীপের সঙ্গে কাঁথির ‘শান্তিকুঞ্জ’র বাইরে বেরোন শিশির। শিশিরের বড় ছেলে কৃষ্ণেন্দুর ছেলে দেবদীপ। শিশির প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে এ সব সহাস্যে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। বদলে যাবতীয় উৎসাহে কিছুটা জল ঢেলে দিয়েই তাঁর বার্তা, ‘‘আমাদের এই এলাকায় পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন হল। শ্রী পঞ্চমী মায়ের পুজো এ বার সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠিত করার জন্য পুজো মণ্ডপ আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। এই পুজো এলাকার মানুষকে উৎসাহ দেবে। সরস্বতীর আরাধনার মাধ্যমে এই এলাকার পড়ুয়াদের অগ্রগতি কামনা করছি।’’
গত বছর নভেম্বরের শেষে তৃণমূল ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন শিশির পুত্র শুভেন্দু অধিকারী। সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার সময় থেকেই নিজেকে ‘গৃহবন্দি’ করে নেন শিশির। প্রথমে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। এর পর, শুভেন্দুর দলত্যাগের সময়টায় তাঁর চোখে অস্ত্রোপচার হয়। শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল শিশির-সহ গোটা অধিকারী পরিবারের সদস্যদের। গত ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই মঞ্চে ছিলেন না শিশির।
ইতিমধ্যে দলীয় স্তরে ডানাও ছাঁটা হয়েছে শিশিরের। তাঁকে পূর্ব মেদিনীপুরে সংগঠনের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় সৌমেন মহাপাত্রকে। শিশির বর্তমানে জেলা সংগঠনের চেয়ারম্যানের পদে। সেই পদের ‘গুরুত্ব’ স্পষ্ট ওই প্রবীণ নেতার কাছে। সোমবার শিশিরকে পুজো মণ্ডপে দেখে ভিড় জমান আশপাশের বাসিন্দারা। তাঁর মুখে রাজনৈতিক বার্তার অপেক্ষায় ছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেই রাস্তা বাস্তবে এড়িয়ে যান শিশির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy