ছবি সংগৃহীত।
পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ শেষের আগেই প্রশাসক নিয়োগের চিঠি পৌঁছল। আজ, বুধবার খড়্গপুর শহরের তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের ৫বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই মঙ্গলবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের পাঠানো চিঠি পৌঁছেছে পুরসভায়। ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, আপাতত নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত পুরসভার যাবতীয় কাজকর্ম দেখভাল করবেন প্রশাসক।
পুরপ্রধান তথা বিধায়ক প্রদীপ সরকারকে মাথায় রেখেই ৬ জনের প্রশাসক কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রদীপ ছাড়াও ওই তালিকায় রয়েছে উপ-পুরপ্রধান শেখ হানিফ, কর বিভাগের পুর-পারিষদ পূজা নায়ডু, জল বিভাগের পুর পারিষদ তৈমুর আলি খান, জঞ্জাল বিভাগের পুর-পারিষদ সুরেশ যাদব ও লাইসেন্স বিভাগের পুর-পারিষদ রীতা সেনগুপ্তের নাম। ৪ জুন থেকে এই কমিটি কাজ করবে।
২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে ১১টি আসন পাওয়া তৃণমূল অন্য দলের কাউন্সিলর ভাঙিয়ে ‘ম্যাজিক ফিগার’ ১৮টিতে পৌঁছেছিল। কাউন্সিলরদের ভাঙাতে তৃণমূলের সঙ্গে পুলিশ-মাফিয়া যোগসাজশের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। শহরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলেছিল গুলি। বোর্ড গঠনের পরে চলতে থাকে দলত্যাগ। তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৬ জন। যদিও এ বার বিধানসভা উপ-নির্বাচন পর্বে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়া এক মহিলা কাউন্সিলর ফের গেরুয়া শিবিরে ফিরে এসেছেন।
বিরোধীদের দাবি, সাধারণত প্রশাসক হিসাবে মহকুমাশাসককে নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু এখন রাজ্যের অন্য জায়গা মতো এখানেও শাসকদলের পুরপ্রধানদের প্রশাসক হিসাবে অনৈতিকভাবে নিযুক্ত করা হচ্ছে। পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর রীতা শর্মা বলেন, “কাউন্সিলরদের পিস্তল দেখিয়ে পুরবোর্ড গঠন হয়েছিল। এ বার বোর্ডের মেয়াদ শেষেও একই ছবি। মহকুমাশাসকের বদলে পিছনের দরজা দিয়ে পুরপ্রধান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরেরা প্রশাসক হিসাবে ঢুকে পড়লেন।’’
যদিও নবনিযুক্ত চেয়ারপার্সন তথা বিধায়ক প্রদীপ সরকার বলেন, “গত ৫ বছরে আমাদের পুরবোর্ড শাসক-বিরোধী বৈষম্য করোনি। মহকুমাশাসকদের গোটা মহকুমা সামলাতে হয়। তাই আমাদের সরকার সারা রাজ্যেই পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষে পুরপ্রধানদেরই চেয়ারপার্সন করে ছোট প্রশাসক কমিটি গড়ে দিচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy