শাসক দলের নেতাদের মদতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বর থেকে গাছ কাটার অভিযোগ উঠল। ঘটনাস্থল মেদিনীপুর সদর ব্লকের দে পাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শিমুল, দামি শিশুগাছও কাটা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এ বার পাঁচিল দেওয়ার জন্য ফের তিনটি গাছ কাটায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের সৌন্দর্যায়নের জন্য বিভিন্ন সময় বন দফতরের সাহায্য নিয়ে লাগানো গাছগুলি কাটা হচ্ছে কেন? বিএমওএইচ মৌসুমী সোম বলেন, “আগে গাছ কাটা হয়েছিল কিনা জানা নেই। তবে এখন গাছ কাটা হয়েছে। পাঁচিল তৈরির প্রয়োজনে গাছগুলি কাটা হয়েছে বলে শুনেছি।”কিন্তু পাঁচিল তৈরির জন্য হলে তো স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সীমানার ধারে থাকা গাছ কাটা হত? তা না করে হাসপাতালের ঠিক পিছনে, আবাসনের কাছের গাছগুলি কাটা হল কেন? বিএমওএইচের জবাব, “এ বিষয়ে বিশদে আমার জানা নেই। শুনেছি ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে গাছ কাটা হচ্ছে।”
সম্প্রতি এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সে জন্য দু’টি গাছ কাটা জরুরি ছিল। তবে সেগুলি মরা গাছ। ওই গাছ দু’টি কাটার জন্য ব্লক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্তও হয়। আর তার উপর ভিত্তি করেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরের তিনটি বড় গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। মেদিনীপুর সদরের বিডিও ঋত্বিক হাজরা বলেন, “পাঁচিলের প্রয়োজনে দু’টি মরা গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরের জীবন্ত কোনও গাছ কাটার সিদ্ধান্ত তো হয়নি। এ ক্ষেত্রে বন দফতরের অনুমতি প্রয়োজন।’’
গাছ কাটার জন্য জন্য কি অনুমতি নেওয়া হয়েছিল? বন দফতরের মেদিনীপুর বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতরে গাছ কাটার জন্য কোনও আবেদন আমরা পাইনি।’’
যাঁর মদতে এই গাছ কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই তৃণমূল নেতা সোমনাথ দে আবার মেদিনীপুর সদর পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ। যদিও সোমনাথবাবুর দাবি, “এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।’’ আর তৃণমূলের চাঁদড়া অঞ্চলের সভাপতি গণেশ মাহাতোর বক্তব্য, “আমি এখন আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দিকে যায় না। তাই ঠিক কী হয়েছে বলতে পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy