তমলুকের গড়কিল্লা গ্রামে তরুণীর মুণ্ড কেটে খুনে অভিযুক্ত রামপদ মান্নাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিলেন তমলুক মহকুমা আদালতের বিচারক। মঙ্গলবার কলকাতার বাগুইহাটি থেকে গ্রেফতারের পর ধৃত রামপদকে বুধবার তমলুক মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিন সকালে পুলিশ রামপদকে তমলুক থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে এসইউসি’র মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ লকআপে ঢোকানোরসময়ও রামপদকে ঝাঁটা, জুতো দিয়ে মারতে উদ্যত হন তাঁরা। তমলুক মহকুমা আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে রামপদকে তোলার বিচারক তাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ওই তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি। ওই তরুণীর পরিচয় জানতে তাঁর দেহ ও কাটা মুণ্ডের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ধৃত রামপদের শাস্তি চেয়েছেন তাঁর বাবা চণ্ডীচরণ মান্নাও। মঙ্গলবার রামপদকে গ্রেফতারের পর পুলিশ তাঁর বাবা চণ্ডীচরণ এবং মা সাবিত্রীদেবীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বুধবার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে চণ্ডীচরণবাবু বলেন, ‘‘রামপদ অনেকের কাছে টাকা ধার নিয়ে শোধ করত না। অনেক অপমানিত হয়েছিল ওর জন্য। কিন্তু তন্ত্র সাধনার নামে একজন মহিলাকে এভাবে খুন করবে ভাবিনি।’’ সঙ্গে তাঁ সংযোজন, ‘‘ আমি চাই রামপদর সবচেয়ে কঠোর শাস্তি হোক।’’ রামপদর মেজ ভাই লক্ষ্মণ মান্না পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক। তিনিও বলেন, ‘‘এমন কু-সংস্কারের বিরুদ্ধে আমি নিজে মানুষকে বোঝাই। আর আমার দাদা এমন করল! আমি চাই আইন অনুযায়ী ওর শাস্তি হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy